
হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP)-এর রামনবমী মিছিলে অংশ নেন। তিনি এটিকে “পাড়ার মিছিল” বলে উল্লেখ করে বলেন, স্থানীয় আমন্ত্রণে যোগ দিয়েছেন এবং এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। তবে এই অংশগ্রহণ রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” নীতির ভিত্তিতে তারা হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, যা বিজেপির “বিকৃত হিন্দুত্ববাদের” সমর্থন নয়।
গতকাল সাঁকরাইলে RSS-সংলগ্ন বানীপুর হনুমান তলা থেকে মানিকপুর বেলতলা পর্যন্ত অস্ত্রধারী রামনবমী শোভাযাত্রায় তৃণমূল বিধায়িকা প্রিয়া পাল এবং হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্যা নাসিমা বেগম কাজী প্রথম সারিতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় বামপন্থী মহল অভিযোগ তুলেছে যে তৃণমূল ও বিজেপি মিলে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে তৃণমূলের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের রামনবমী উদযাপনকে “হিন্দু ভোট চুরির ধান্দা” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল বিজেপির ৫% হিন্দু ভোটার টার্গেট করে “গেরুয়া পরিধান করে সাধু সাজছে”, যা রামায়ণে রাবণের কৌশলের অনুরূপ।
- তৃণমূলের পাল্টা যুক্তি: TMC নেতারা দাবি করেন, বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তারা ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রেখে উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, “রাম সবার, ভক্তির ব্যাপার”।

রামনবমীকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে এই প্রতিযোগিতা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তৃণমূলের নেতৃত্ব ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিলেও, হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর কৌশল স্পষ্ট। অন্যদিকে, বিজেপি এটিকে “নকল হিন্দুত্ববাদ” বলে আক্রমণ করে নিজেদের ভিত্তি মজবুত করতে চাইছে।
এখন সবাই মনে এই ধারণাই তৈরী হচ্ছে যে মুসলিমদের মন জয় করতে কখনও ফুরফুরা শরীফের জন্য জয় বাংলা দেয়, কখনও আবার রেড রোডে নমাজ পার্টিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বাংলা স্লোগান ওঠে। আসলে মমতা পন্থী বাংলার মুসলমানের জন্যই কি এই জয় বাংলা স্লোগান?
অন্য দিকে আরএসএস এর নির্দেশে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও রামনবমীর মিছিলে যোগদানের আহবানে সাড়া দিয়ে পথে নামল তৃণমূল? রমনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করে হিন্দুত্ববাদের muscle power দেখাতে চাইছে আরএসএস পরিচালিত তৃণমূল কংগ্রেস দল।