মালদা: পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি অপসারণের পর দিনই মোথাবাড়ির গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানকে অনাস্থা ভোটে অপসারিত করল তৃণমূলের সদস্যরা। প্রধান আমিনুল ইসলাম এদিন তলবি সভায় ১২-০ ভোটে হেরে যায়। তিনি এদিন সভায় আসেনওনি।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬ টির মধ্যে ১০টি আসনে জয় লাভ করে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। ৫ টি পায় কংগ্রেস ও একটি বিজেপি। পরে কংগ্রেসের চারজন তৃণমূলে নাম লেখান। এই পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের আমিনুল ইসলাম এবং উপপ্রধান হন মিনা মন্ডল। কিন্তু প্রধান গঠনের পর থেকেই দলের সদস্যদের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় প্রধানের। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত আড়াই বছরে প্রায় শতাধিক অভিযোগ প্রশাসনের কাছে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। মাঝে প্রধান তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড ছিল। কিছুদিন আগে তৃণমূলের ৮ জন ও কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া চারজন এই ১২ জন্মিলে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। কিন্তু অনাস্থার তলবি সভা ডাকা নিয়ে প্রশাসন টালবাহানা করায় বিক্ষুব্ধ ওই সদস্যরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে ব্লক প্রশাসন এ দিন তলবি সভা ডাকে এবং ১২-০ ভোটে প্রধান অপসারণ হন বলে জানান তৃণমূল সদস্য গোলাম কিবরিয়া।
এদিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুধীরকুমার দাস বলেন, এই প্রধান বিধানসভা নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করেছে, কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে কাজ করে। তিন মাস আগেই তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। এদিন প্রধান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।