নিউজ ডেস্ক : ২০১৯ এর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া করোনা অতিমারি খুব দ্রুত আক্রান্ত করেছে সারা পৃথিবী কে। প্রাথমিক অবস্থায় শুধু লকডাউন এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আর কিছুই করা যায়নি। তবে এখন বাজারে এসেছে বেশ কয়েকটি সংস্থার ভ্যাকসিন। আশা করা হচ্ছিল এই ভ্যাকসিন করোনার হাত থেকে রেহাই দেবে বিশ্ববাসীকে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনাবলীতে ভ্যাকসিন এর উপর বিশ্ববাসীর আস্থা কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে। নরওয়েতে ফাইজার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই মৃত্যু ঘটেছে ২ স্বাস্থ্যকর্মীর। কিছুদিন আগে পর্তুগালের ও ১ শিশু চিকিৎসকের মৃত্যু হয় ভ্যাকসিন নেওয়ার ঠিক দুই দিন পর। সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহে চিন্তিত চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানী মহল। তাহলে কি সত্যিই ভ্যাকসিন করোনার প্রতিরোধক হতে পারবে না?
এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা ভাবাচ্ছে ডাক্তারদের। এর আগে ফাইজার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এর থেকে কি মৃত্যু হতে পারে? ‘নরওয়েজিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’র মেডিক্যাল ডিরেক্টর স্টেইনার ম্যাডসেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে ভ্যাকসিনের কারণেই কি মৃত্যু হয়েছে? নাকি পুরো ব্যাপারটাই কাকতালীয়?’’ তবে সেই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, বহু প্রবীণ মানুষ ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যেহেতু, তাঁদের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনার কথা জানা যায়নি, তাই সম্ভবত এই দু’জনের মৃত্যু কাকতালীয়ই। প্রসঙ্গত, ওই সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নরওয়ের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ’।
এর আগেও ফাইজার কোম্পানির সিইও আলবার্ট বোররার এক মন্তব্যে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন বহু মানুষ। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ভ্যাকসিন পর ভ্যাকসিন গ্রহীতার দেহ থেকে করোনা ভাইরাস অন্য কারো দেহে সংক্রমিত হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অবশ্য বাজারের অন্যান্য যে সমস্ত ভ্যাকসিন এসেছে তাদের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও এমন সরাসরি মৃত্যুর ঘটনা এখনো সামনে আসনি।
তবে এই ঘটনার পর নরওয়েতে আবার নতুন করে জারি হচ্ছে করোনা সতর্কতা। রেস্টুরেন্ট বারসহ বিভিন্ন জনসমাগমের স্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এছাড়াও বাইরে থেকে অতিথি আমন্ত্রণ করে বাড়িতে পার্টি করার উপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।