বাঙালি মিয়া মুসলিমদের ভোট নিয়ে MLA হতে চাই না, এরা আসামের সংস্কৃতি বিরোধী, বিস্ফোরক হেমন্ত শর্মা

নিউজ ডেস্ক : আসামের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা এবং রাজ্যটির স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুসলিম বিরোধী ঘৃণা প্রচার এবং সাম্প্রদায়িকতার চিরপরিচিত তাস খেললেন স্বাভাবিক ভঙ্গিমায়। এবার তিনি বললেন, আসামে বাঙালি মিয়া মুসলিমদের ভোটের আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। এরা ভারতীয় সংস্কৃতি আসামের ভাষা এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে। এদের কাউকেই টিকিট দেবে না বিজেপি। রাজ্যের বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও এমন করার জন্য বলেছেন তিনি। গত বুধবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্বাভাবিকভাবেই তার এই অমানবিক সীমালংঘনকারী সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্যে হতচকিত রাজ্যের বুদ্ধিজীবি মহল। তিনি বলেন, যারা নিজেদেরকে বাঙালি মিয়া মুসলিম বলে পরিচয় দেয় বিজেপি তাদের আসন্ন নির্বাচনে টিকিট দেবে না। এরা রাজ্যের সংস্কৃতি এবং ভাষার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে। এদের ভোট নিলে আমি বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে বসতে পারব না। এমন লোকেদের আমাদের জন্য ভোট দেওয়া উচিত না।”

আসামের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যে বর্তমানে মোট অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এবং কংগ্রেস সহ ছয়টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে তৈরি হওয়া মহাজোটের কারণে বিজেপি মুসলিম বলতে গেলে পাবে না আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। সেজন্যই সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ভোট মুসলিম বিরোধী অবস্থান জোরদার এবং সাম্প্রদায়িকতা ব্যবহার করে নিজেদের দিকে যতটা সম্ভব টানার চেষ্টা করছেন এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা। তবে বিজেপি নেতাদের মুখে এমন মন্তব্য নতুন নয়। এর আগেও বিজেপির আরেক কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা তেজস্বী সূর্য ব্যাঙ্গালোরের পৌর নির্বাচনের সময় এমনই মন্তব্য করেছিলেন। এমন মন্তব্যগুলি এই কারণেই আসে, যাতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রচার করে একই মনোভাবাপন্ন সংখ্যাগুরু ভোটারদের কাছে টানা যায় সেই জন্য।

অন্যদিকে এনআরসি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য আসামের লক্ষ লক্ষ মানুষ যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তার আঁচ যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে সেটা ভেবেই তিনি পুরো প্রক্রিয়ার ভার রাজ্যের প্রাক্তন এন আর সি কো-অর্ডিনেটর এর প্রতিক হাজেলার ওপর চাপিয়ে দেন।

Latest articles

Related articles