রাজ্যে উপনির্বাচনের দামামা কি বেজে গেল

 

নিউজ ডেস্ক : সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন করার জন্য কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছে কমিশন।

আগামী মাসে রাজ্যে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোট হবে। বর্তমানে ইভিএম, ভিভি প্যাড পরীক্ষার কাজ চলছে কমিশনে। ফার্স্ট লেবেল চেকিংয়ের কাজ শেষ। কয়েক দিন আগে কমিশনে গিয়ে দ্রুত নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়।

 

কমিশনের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একদল নেতা-মন্ত্রী। পরিষদীয় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টচার্য, জাভেদ আহমেদ খান, শশী পাঁজা। কমিশনে গিয়ে তারা অবিলম্বে নির্বাচন ও উপনির্বাচন করার দাবি জানান। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন, পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবি করেছি। গত এপ্রিল মাসে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। সেই কারণে আট দফা নির্বাচন না করানোর জন্য সোচ্চার হয়েছিল দল। কিন্তু এখন সংক্রমণ অনেক কমেছে। তাই গত মাসের ১৫ তারিখ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রার সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের ছয় সাংসদ।

প্রসঙ্গত, সেদিনই কেন্দ্রের থেকে চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানানো হয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ চলছে। পরবর্তীতে তৃতীয় ঢেউ খুব শিগগির আসছে। পার্থর দাবি, ভোটের পর তিন মাস কেটে গিয়েছে, ফলে এবারে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুক কমিশন। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ভোটের কাজ এগোচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন, জানালেন পার্থ। তিনি তির্যক সুরে বিজেপির উদ্দেশ্য একথাও বলেন, যারা গণতন্ত্র রক্ষা করার দাবি করেন, তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য উপনির্বাচন হতে দিতে চাইছে না।

Latest articles

Related articles