বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি, বিস্ফোরক বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

29439964d212

নিউজ ডেস্ক : বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা মতো তেমন কিছুই পাননি। তাই বিধানসভা ভোটের ফল বের হতেই আবার পুরনো দলেই ফিরে আসতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক দল ‘দলবদলুরা’। একই জেলায় অমল আচার্য, সরলা মুর্মুর পর এবার দলে ফিরতে চাইছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। গত কয়েকদিন আগে সোনালী গুহ-ও এই আবেদন করেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরের রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি পুরোপুরি রাজ্য নেতৃত্বের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব। রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি ব্যাপারটিতে।

 

 

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে ঘাসফুল শিবিরের টিকিট পাননি বাচ্চু। যার ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের এই প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। যার জেরে বিজেপিও তাঁকে এই নির্বাচনে সেরকম ভাবে কাজে লাগায়নি। তাই বিজেপিতে যাওয়ার বেশ কয়েকদিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়েছিল তাঁর। দলেও ফিরতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে দলে ফেরায়নি।

 

 

 

আর ভোটের ফল বেরতেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন বাচ্চু হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘আমাকে তখন দলে নিলে সক্রিয় ভাবে প্রচার করতে পারতাম। তপন, গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাট এই আসনটিও জিতিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু গোপনে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে গিয়েছি। দল যদি আবার আমাকে ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আবারও পুরোদমে কাজ করতে পারব’।

 

 

যদিও গত কয়েকদিন আগে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, যারা দলের দুর্দিনে পাশে না থেকে অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন তাদের আগামী ৬ মাস তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই। জেলা নেতৃত্বরও এই বিষয়ে খানিকটা আপত্তি রয়েছে। এলাকার কর্মীদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বিধানসভাতে ২৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এই লোকসভা আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার এটাই মূল কারণ। এবার সেই বিধানসভাতেই তাঁকে প্রার্থী না করে কল্পনা কিস্কুকে প্রার্থী করায় মাত্র ৪২০০ ভোটে হেরেছে দল। এর থেকেই স্পষ্ট তাঁর গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নেই। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান তথা কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র জানান, এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে সৌগত রায় যে কথা জানিয়েছিলেন তা থেকে কিছুটা হলেও স্পষ্ট, এদেরকে আপাতত দলে ফিরবে না তৃণমূল।

 

 

তবে যে হারে বিজেপিতে যোগ দান তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দান করা নেতারা আবার ঘর ওয়াপসির চেষ্টা করছেন তাতে বঙ্গে বিজেপির অস্তিত্ব ধীরে ধীরে বর্তমান সময়ের বাম কংগ্রেসের মতো হওয়া আশ্চর্যজনক না যদি কেন্দ্রীয় স্তর থেকে নানাভাবে সক্রিয় সমর্থন না দেওয়া হয়। আবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের বেশি গুরত্ব দিতে গিয়ে আদি বিজেপির নেতারা অনেকটা গুরত্ব হারিয়েছেন দলে। ফলে তাদের গ্রহনযোগ্যতা ও হ্রাস পেয়েছে। তাই এখনও বঙ্গ বিজেপির জন্য অনেক দুর্দিন যে অপেক্ষায় আছে তা বলাই বাহুল্য।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর