বাবুনগরী ও মুঈনে মুহতামিমঃ বামপাড়ায় উল্লাস,নীল নকশা কি সফল হবে???

কওমী সনদ স্বীকৃতির শোকরানা মাহফিলে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচারকে যখন আলেমদের পাগড়ীর ভাঁজে ঢুকিয়ে দিয়েছিল আর তিনিই কেবল তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তখনই শুরু নীল নকশা।
সবার পাগড়ীর লেজ হাতে নিতে পারলেও তার পাগড়ীতে ধরার দুঃসাহস করে নি।

শয়তান কি চায়?

শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় কত দিন? সামনে তো আবার গর্জে ওঠবে তারা! তখন? তাই সবার পাগড়ীর লেজ হাতে আনতেই হবে।
যার পাগড়ীর লেজ এখনো হাতে নেওয়া সম্ভব হয় নি তাকে তো যে কোন মূল্যে বেকায়দায় ফেলতেই হবে। সহজ কথা মূল ধারার নেতৃত্বে একজন খেলার পুতুলকে বসানোই হল তাদের মূল টার্গেট।
মুঈনে মুহতামিম পদ থেকে মাইনাস করা হল প্রাথমিক একটা টেষ্ট খেলা, ফাইনাল খেলায় কতটুকু সফল হবে তার একটু আভাস নিতে চাচ্ছে। তাদের নকশা অনুযায়ী শক্তিশালী একটি সফলতা পেয়েছে, তারা প্রথম চালে বিজয়ী হয়েছে।

শয়তানের চক্রান্ত খুবই দূর্বলঃ

মুঈনে মুহতামিম পদকে আমি বিন্দুমাত্রও হিসাব করি না, আজ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবাই আহাজারি করছে তো তাই এ বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার।

মূল ধরার নেতৃত্ব মুহতামিম বা মুঈনে মুহতামিম হিসেবে গঠিত হয় নি, কেবল মাত্র একনিষ্ঠ তাকওয়া যোগ্যতা ও সময়ের দাবীতে আল্লাহ প্রদত্ত এক সীদ্ধান্তেই গড়ে ওঠেছিল এ নেতৃত্ব — এটাই আমার বিশ্বাস। যারা মুঈনে মুহতামিম পদকে মূল ধারার নেতৃত্বের বড় ফ্যাক্ট মনে করছেন তারা নিতান্তই ভুল করছেন।

তবে বামপাড়ার শয়তানরা এটাকেই মূল ফ্যাক্ট হিসেবে চিন্তা করে চাল দিয়েছে সেজন্যই ওদের চক্রান্ত একদমই দূর্বল বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি।

মুরব্বীপূজা হতাশার দিকঃ
স্নায়ুযুদ্ধের এ যুগে ব্যক্তিপূজা প্রকৃত অর্থেই হতাশার দিক। যারা বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগায় না, শুধু মাত্র আবেগ-হুজুগ-ভক্তিকে প্রাধান্য দেয় তাদের কারণে হয়ত মূল ধারার নেতৃত্ব বামপাড়ার দখলে চলে যেতে পারে।

আশার দিকঃ

১, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগর পরীক্ষীত সিপাহসালার। আর মুঈনে মুহতামিম হিসেবে তাকে তৌহিদ জনগন চিনত না, বরং আল্লামা বাবুনগরীর কারণে মুঈনে মুহতামিম পদকে চিনেছে।

২, মূল ধারার নেতৃত্ব হাটহাজারীর মুহতামিম ও মুঈনে মুহতামিম পদের ব্যক্তি কিন্তু ওই পদটি মূল নেতৃত্ব নয় বরং ব্যক্তিটি মূল নেতৃত্বে এসেছিল।

৩, ইসলামের ইতিহাস বলে, আল্লাহ প্রদত্ত এক মহান অনুগ্রহ হল মুনাফিকরা প্রকাশ হয়ে যাওয়া এবং মুমিনরা শক্তিশালী হয়। আল্লামা বাবুনগরী সাহেব শোকরানা মাহফিলের পর থেকেই মুনাফিক,মুজিয়া,পদলোভী,স্বার্থান্বেষী, জাসুসদের ব্যপারে তৌহিদী জনতাকে সতর্ক করে আছেন, আর বলেছেন এদেরকে চিহ্নিত করতে। আমার মনেহয় এরা চিহ্নিত হয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ আশার দিক।

সুতরাং বামপড়ার মূল নকশা যাদের মাথায় ঢুকেছে তারা চলমান পরিস্থিতিকে সেভাবে মোকাবেলা করে শয়তানদের গালে ঐতিহাসিক চপেটাঘাত দেওয়া প্রস্তুতি নিন।

আরেকটু ভাবুন “জাসুস” কত এসেছে?

চলমান ঘটনায় আপনারা প্রকাশ্যে নাম নিয়ে বিষোদগার করছেন, বলছেন অমুক দালাল, তমুক পদ লোভী ইত্যাদি। একটু নীরবে ভাবুন, আপনাদের অল্প কয়েকটা নামের লোকেই কি গোটা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে? নাকি জাসুস কলিজায় প্রবেশ করেছে!

দেশের ঐতিহাসিক এক অধ্যায় সৃষ্টিকারী এ প্লাটফর্মের কলিজায় জাসুস কত শক্ত অবস্থান নিয়েছে তা বুঝতে দেরী হলে মূল নেতৃত্ব হুমকিতে পড়বে।

ইসলামবিদ্বেষী মহল শয়তানের চেয়েও ফার্স্ট হয়েছে, শয়তান রক্তের শিরায় উপশিরায় প্রবাহিত হয় আর বর্তমান বামপন্থী জাসুস কলিজায়ও ঢুকে গেছে।

ইসলামপন্থী সকল নেতৃবৃন্দকে জাসুস সম্পর্কে চৌকস দৃষ্টি রাখার উদাত্ত আহ্বান।

শেষকথাঃ
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব যদি তাদের এই চালে হেরে যায় তবেও আমি বিশ্বাস করি আবারো নতুন এক বাবুনগরী গর্জে ওঠবে। সুতরাং শয়তানদের হাসি ঈমানদারদের হৃদয়ে ভীতি সঞ্চার করতে পারে না।
یریدون ان یطفٶا نور الله بافواههم والله یتم نوره۔۔۔۔۔۔ الایة الکریمة

Latest articles

Related articles