মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরে ফের দলিত সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনা সামনে এল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বিকাউরা গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে। নালা তৈরির কাজে নিযুক্ত নির্মাণ শ্রমিক দশরথ আহিরওয়ার ও তাঁর সহকর্মীরা কাজের ফাঁকে পাশের নদীতে স্নানরত রামকৃপাল পটেলের সঙ্গে মজার ঠাট্টা চালাতেন। সেই সময়, দশরথের হাতে থাকা গ্রিজের কিছু ফোঁটা রামকৃপালের শরীরে লেগে যায়।
দশরথ দাবি করেন, – তিনি বললেন, “আমার হাতে গ্রিজ ছিলো যা ভুলবশত রামকৃপালের গায়ে লাগিয়ে গেলো। এরপর, যে মগটি রামকৃপাল স্নানের সময় ব্যবহার করছিলেন, সেটিতে পাশেই পড়ে থাকা মানুষের মলমূত্র তুলে নিয়ে এসে আমার শরীরে ছুড়ে মারেন, এমনকি আমার মাথা ও মুখেও মাখিয়ে দেন।” অভিযোগের পরপরই দশরথ এফআইআর দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তে রামকৃপাল পটেলকে আটক করে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি আইনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। অন্যদিকে, দশরথের অভিযোগ নিয়ে তিনি পঞ্চায়েতে নালিশ জানানোর চেষ্টা করেছিলেন, তবে পঞ্চায়েত তাঁর উপর ৬০০ টাকার জরিমানা ধার্য করে।
এ ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশে দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হওয়া অত্যাচারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যেখানে সাম্প্রতিককালে সিধি জেলায় এক দলিত যুবকের ওপর এক বিজেপি কর্মীর দ্বারা প্রস্রাব করার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পর ব্যাপক নিন্দার মুখে এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তির পা ধুয়ে দেন।
এই ধরনের ঘটনা মধ্যপ্রদেশে দলিত সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমাগত হওয়া অত্যাচারের নতুন উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা এলাকার সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।