খেলাধুলা নাই, ঘাসে ভরে গেছে কক্সবাজার স্টেডিয়াম।

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_705907446640642

 

খোরশেদ মাহমুদ  
স্টাফ রিপোর্টার, এনবিটিভিনিউজ।

যে মাঠে একসময় খেলোয়াড়দের পদচারণায় মুখরিত ছিলো সেই স্টেডিয়ামই মাঠে এখন ঘাস আর ঘাস। মাঠের বেশির ভাগ অংশ ঘাসে ভরে গেছে। খেলাধুলা না থাকায় মাঠের এ অবস্থা। আবার কবে নাগাদ খেলোয়াড়রা মাঠে আসতে পারবেন তার কোন নিশ্চয়তাও নেই। করোনা সংকটে অন্যান্য সবদিকের মত ক্রীড়াঙ্গনেও নেমে এসেছে নিরব নিস্তব্ধতা। তবে অন্যান্য সেক্টরের অনেকে রাষ্ট্রিয় এবং বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুযোগ সুবিধা পেলেও খেলোয়াড়রা তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাননি বলে জানান ক্রীড়ামোদিরা। তবে কর্তৃপক্ষের দাবী করোনা সংকটে সরকারি বেসরকারী এবং ব্যাক্তিগতভাবে সাধ্যমত ক্রীড়াবিদদের সহায়তা করা হয়েছে।

সরেজমিনে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, এক সময়ের প্রাণ চঞ্চল খেলার মাঠ এখন নিস্প্রাণ হয়ে পড়ে আছে। চারিদিকে গেইট বন্ধ তাই মাঠে এখন কেবল ঘাস আর ঘাস। আলাপকালে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং ক্রিকেট সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, এক সময় মাঠে ঘাস তোলার জন্য অনেক টাকা বাজেট করতে হতো। আর এখন মাঠ ভর্তি ঘাস মুলত কোন খেলাধুলা না থাকায় মাঠে ঘাসের এ সমারোহ। তিনি জানান, বাংলাদেশে মার্চের মাঝামাঝি করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়ামে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ। কোন খেলোয়াড় মাঠে আসেন না। তাই মাঠে এখন ঘাসে ভরপুর।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এম আর মাহবুব বলেন, শুধু জেলা বীর শ্রেষ্ট রুহুল আমীন স্টেডিয়াম নয় ফুটবলের উর্বর ভুমি চকরিয়া, রামু সহ সব জায়গাতেই কোন খেলাধুলা নেই। সব খেলোয়াড় এখন ঘরে বসে আছেন। মূলত করোনা সংকটের কারণে সব জায়গায় খেলাধুলা বন্ধ। তিনি জানান, জেলার অনেক প্লেয়ার জাতীয় ফুটবল দলে এবং বিভিন্ন ক্লাবে ২০/৩০ লাখ টাকা দিয়ে দল বদল করেছিলেন। কিন্তু মাঠে খেলা না থাকায় কেউ এখন টাকা পাচ্ছেন না খেলতেও পারছেননা। অপরদিকে খেলার মাঠ গুলোতে ময়লা আবর্জনা এবং ঘাস উঠে যাচ্ছে।

জেলা খেলোয়াড় সমিতির সমন্নয়ক সাবেক জেলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ইসমাইল জাহেদ বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ৫ শতাধিক ফুটবলার আছেন যারা নিয়মত পেশাদার ফুটবল খেলেন কিন্তু গত ৪ মাসে করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কোন খেলোয়াড় মাঠে যাননি। কোন খেলা বা লীগ এমনকি টুর্নামেন্ট হয়নি তাই কোন প্লেয়ার একটাকাও আয় করতে পারেননি। আর মাঠের অবস্থাতো শোচনীয়।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, মাঠে ঘাসের পরিমান অনেক বেড়েছে,যে মাঠে ঘাস তুলতে আমাদের রীতিমত হিমসিম খেতে হতো সেই মাঠে এখন ঘাস আর ঘাস। করার কিছুই নেই মাঠে কোন খেলোয়াড় না বা খেলাধুলা না থাকায় মাঠে ঘাস উঠে ভরে গেছে। আর করোনা সংকটে সরকারি বেসরকারী এবং ব্যাক্তিগতভাবে ক্রিড়াবিদদের সহায়তা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর