লকডাউনে স্তব্ধ দিল্লি। তবে এর মাঝেও এক হাড়হিম করা ঘটনা সামনে এল। অভিযোগ উঠে গত ৩ মে দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হন এক ২৩ বছর বয়সি যুবতী। দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করা সেই যুবতী ফেসবুকের মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করেন। সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হন তিনি।
জানা গিয়েছে ফেসবুকে আলাপচারিতা গভীর হওয়ায় ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়। এরপর সাগর নামক অভিযুক্ত যুবক নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখানোর নাম করে নির্যাতিতাকে ডাকেন। এরপরই রাজধানীর শহরতলির রামগড় গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয় যুবতীকে। সেখানে সাগরের বন্ধুরা মদের আসর বসিয়েছিল। সেখানে ছিল সাগরের ভাইও।
এরপরই সেখানে নির্যাতিতার উপর পালা করে অকথ্য অত্যাচার চালায় সাগর ও তার বন্ধুরা। পরে সেই জঙ্গল থেকে নির্যাতিতা যুবতীকে আকাশ নামক এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায় সাগর। সেখানেও ৫ জন অত্যাচার চালায় সেই যুবতীর উপর। ধারাবাহিক ভাবে এই অকথ্য অত্যাচারে যুবতীর শারিরীক অবস্থা অবনতি হয়। এই পরিস্থিতিতে যুবতীকে বদরপুর সীমান্তের কাছে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
এরপর ১২ মে হাসানপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। শারীরিক ভাবে দুর্বল থাকার জেরে তিনি এর আগে এসে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। এরপরই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাগরকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে হাসানপুর থানার এসএইচও রাজেশ জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।