ওয়ারিশ লস্কর, মগরাহাটঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের ধামুয়া মুলটি স্কুল মাঠে কৃষিবিল প্রত্যাহার, পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিনের সভা থেকে কুণাল ঘোষ কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব, শোভন বৈশাখী কে। মাঝপথে দল থেকে যারা পালিয়ে যায় তারা মীরজাফর, তারা কাপুরুষ, কি দেয়নি তোমাকে! একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী করেও কাপুরুষের মত দল ছেড়ে কেন্দ্রের শাসক দলের হাতে ধরা দিচ্ছো। তুমি ২০১৪ সাল থেকে অমিত সাহাকে দেখে মুগ্ধ, তাহলে তখন কেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে না? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে তুলে এনে মন্ত্রিত্ব দিল, সে কেমন বেহায়া নির্লজ্জ তৃণমূল যে ছেড়ে চলে গেল! মমতাদি যে পচা আলু জানালা দিয়ে ফেলে দেয় সে আলু অমিত সাহা বাটিতে ধরে নেই। তার পাশাপাশি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে রাজ্যপাল একটা বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলেন, রাজ্যপাল পাল্টাবে কিন্তু রাজ্য সরকার পাল্টাবেনা। আর সেই বাংলাকেই আমরা সোনার বাংলা করে রাখবো। পাশাপাশি তিনি আরো জানান বিজেপি সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে, কিন্তু আমাদের দল হিন্দু–মুসলিম দেখেনা আমাদের দলে প্রত্যেকের সমান অধিকার আছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি আমাদের ইট ছুড়লে আমরা কিন্তু পাটকেল ছুঁড়তে প্রস্তুত আছি। আজকের এই সভা কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ে পূর্ণ হয়ে ওঠে। এদিন সিপিআইএম এর প্রাক্তন সদস্য সইদুল ইসলাম সহ মগরাহাটের চৌদ্দটি পঞ্চায়েত থেকে অন্যান্য দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি সুভাশিষ চক্রবর্ত্তী, তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী জুঁই বিশ্বাস, সাংসদ প্রতিমা মন্ডল, বিধায়িকা নমিতা সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Related articles