বঙ্গে মোদীকে ভিড়ের চমক দিতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির, সেই ভিড় দেখেই বাংলাকে গ্রেড দেবেন এই কথা বলেছিলেন অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বসন্ত উৎসব উপলক্ষে যেমন আগাম আনন্দের জন্য মাতোয়ারা হয়ে যাচ্ছে ঠিক তেমন বঙ্গের রাস্তা, ঘাট্,আকাশ বাতাশে শুধু ভোট ভোট গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, বঙ্গের মাটিতে যেন রাজনীতির রঙে রেঙ্গে উঠেছে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবার পর থেকে প্রচার তুঙ্গে উঠেছে, জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে ভোটের, রাজনৈতিক মহলের অন্তরে এক প্রকার শোরগোল পড়েছে, এমত অবস্থায় বাংলায় পদ্ম-শিবির নিজের হাত শক্ত করতে ব্রিগেডে জনসমাবেশের আহ্বান করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি চালেঞ্জ দিয়ে কথা বলেছিল ১০ লক্ষ্ অধিক মানুষের সমাবেশ হবে, আর সেই সমাবেশ দেখিয়ে মোদীকে চমকে দেবেন বাংলার গেরুয়া শিবিরের প্রধান নেতৃবৃন্দরা।
মোদীর বাংলায় এটা প্রথমবার ব্রিগেড না, এর আগেও মোদী ব্রিগেডে এসেছিলেন, কিন্তু তখন ব্রিগেডের সাথে এখন ব্রিগেডের অনেক ফারাক, তখন ব্রিগেডে তুলনামূলক মানুষ হলেও এই বারের ব্রিগেডে সংখ্যা তুলনামূলক কম, দলবদলের পর ভিন্ন ভিন্ন প্রখ্যাত নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেও তার প্রভাব দেখা যায়নি আজ ৭ই মার্চের ব্রিগেডে, মোদীর এই ব্যর্থ ব্রিগেডের পর গেরুয়া শিবিরের অন্তরমহলে শোরগোল পড়ে গেছে, ভিন্ন ভিন্ন তারকাদের সমাগমেও ভরে উঠলোনা ব্রিগেডের ওই মাঠ।ব্রিগেডে মঞ্চ যেই দিন থেকে বাঁধা শুরু হয়েছিলো, তার আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল জমায়েতের, বিজেপির দাবী হাওড়া, হুগলী, নদীয়া, বীরভূম থেকে মানুষ এলেও বেশি মানুষ আসবে দুই বর্ধমান ওহ মেদনীপুর জেলা থেকে, কিন্তু বিজেপির সেই দাবী আর স্বপ্নে জল ঢাললো আজকের ফাঁকা ব্রিগেড মাঠ, তাহলে এই ফাঁকা মাঠ দেখে কি ভাবে গ্রেড দেবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ? আর এই ফাঁকা মাঠ পরিক্রমা বিশ্লেষণ করে গেরুয়া শিবিরের অন্তরমহলে কী প্রভাব পড়বে সেটা বলাবাহুল্য।