হোসেনপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, বিধি-নিষেধ মানতে অনীহা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

208303874_182091893785941_6153662193866174507_n

 

( শামীম সরকার ) স্টাফ রিপোর্টার :

সরকার সোমবার (২৮ জুন) থেকে বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত তিন দিনের সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই সময় জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী গাড়ি আর রিক্সা ছাড়া অটোরিক্সাসহ গণপরিবহন ও অপরাপর যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঔষধসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য ছাড়া অন্যান্য দোকানপাটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা সরকারি এসব বিধি-নিষেধ পালনে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে চলছে এই উপজেলায় লকডাউন। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল থেকে হোসেনপুর বাজারসহ পৌর এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। বাজারে বিভিন্ন দোকান দেখা যায় অর্ধেক সাটার নামানো, ভেতরে বিক্রেতারা বিকি কিনিতে ব্যস্ত। ক্রেতাদেরও সরব উপস্থিতি রয়েছে। বাজারে আসা জনসাধারণের মুখে মাস্ক ব্যবহারও ছিল কম। এছাড়া রিক্সা ব্যতিত অন্যান্য যান চলাচলে নিষেধ থাকলেও সকাল থেকেই শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মিশুক, সিএনজি, মাইক্রোবাসসহ মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী চলাচল করতে দেখা গেছে অন্যদিকে হোসেনপুরে বেশ কিছুদিন যাবত করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। ঢিলেঢালা ভাবে পালন করছে লকডাউন। হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুরে বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উপজেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধির পরও মানুষের মাঝে নেই কোনো সচেতনতা। নেই সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা। সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখাসহ চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। করোনার এই উর্ধ্বগতি হওয়ার পরও সরকারি নিয়ম না মেনে দোকান খোলা রাখার বিষয়ে কয়েকজন দোকানির সাথে কথা বললে তারা জানান, করোনার শুরু থেকেই তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সামনে ঈদ, এ সময় লকডাউনে দোকান বন্ধ করে নতুন করে বিপাকে পড়তে হবে। এজন্য বাধ্য হয়ে দোকান খুলতে হচ্ছে। তবে প্রশাসনের লোকজনের ভয় রয়েছে, তাদের হাতের ধরা পড়লেই জরিমানা গুণতে হয়। কিন্তু দোকান বন্ধ রেখে বাড়িতে বসে থাকলে, কেউ কি তাদের খাবার দিয়ে আসবে-এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কয়েকজন। লকডাউনে নির্দেশনা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, পণ্যবাহী পরিবহন ও রিকশা ব্যাতিত সকল গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। শপিংমল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান ও হোটেল- রেস্তোরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে খাবার অর্ডার দিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে। জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করে এসব আইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর