এনবিটিভি ডেস্কঃকরোনার প্রকোপের প্রথম দিন থেকেই পর্যাপ্ত পিপিই ও মাস্কের অভাব বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। রাজ্য সরকার এক্ষেত্রে বারংবার কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্যকে পর্যাপ্ত পিপিই কিট ও মাস্ক দিয়ে সহযোগিতা করছে না। ফলে এই নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর লেগেই আছে। আর এই প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০০ জুনিয়র ডাক্তার। এই নিয়ে তাঁদের বক্তব্য যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের পর্যাপ্ত পিপিই-মাস্ক দিচ্ছে না। ফলে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এবং তাঁদের প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে করোনা পরীক্ষা ও করানো হচ্ছে না।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের প্রথম সারির কর্মীদের ঠিক মতো কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে এর আগেও অভিযোগ উঠেছে বহুবার। যাঁরা রাজ্যের মানুষদের নিরাপত্তায় কাজ করছে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েও বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। যদিও এই অভিযোগে রাজ্য সরকারের জানিয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে করোনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে কোনওরকম সাহায্য করেনি রাজ্যকে। ফলত নবান্ন থেকেই তৎপর হয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে। তারপর থেকেই প্রেস কনফারেন্সে রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিভিন্ন হিসেব দিতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, “এগুলো কোনওটাই রেডিমেড পাওয়া যায় না। সবটাই তৈরি করাতে হচ্ছে।”
করোনা করাল থাবা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিই কিছু কিছু দপ্তর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে করোনা বাদে বাকি অন্য রোগ নিয়ে যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন, বা ভর্তি হতে আসছে। তাঁদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।