নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়ে ফল ঘোষণা হয়েছে প্রায় ২ মাস উত্তীর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে। লজ্জাজনক হারের সম্মুখীন হয়েছে বিজেপি। আশা ছিল ২০০ টি আসন। কিন্তু গেরুয়া শিবির পেয়েছে মাত্র ৭৪ জন বিধায়ক। তাই এতদিন পরেও হার মানতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। আরো দুই বিজেপি প্রার্থী হাইকোর্টে পুনর্গণনার আবেদন জানাল। এই নিয়ে মোট ৮ জন বিজেপি প্রার্থী হাইকোর্টে গেল পুনর্গণনার দাবিতে।
পাণ্ডবেশ্বর ও মহিষাদলের বিজেপি প্রার্থীদের পর এবার কলকাতা হাই কোর্টে গেলেন মানিকতলা ও জলপাইগুড়ির প্রার্থীরা। সোমবার তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখতে পারে আদালত।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পুনর্গণনা হলে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী (BJP) কল্যাণ চৌবে। তাঁর কথায়, “ভোট আবার গণনা হোক। পুনর্গণনা হলেই আমি জিতব।” তাই ভোটের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধায়ক সাধন পাণ্ডের কাছে ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে হেরেছেন তিনি।
একইরকম আত্মবিশ্বাসী সুজিত সিনহা-ও। তিনি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু মাত্র ৯৪১ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপকুমাপ বর্মার কাছে পরাজিত হন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, গণনায় ত্রুটি রয়েছে। পুনর্গণনা হলে জয় পাওয়ার বিষয় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। একই রকম অভিযোগে হাইকোর্টে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ নন্দীগ্রামে তিনি বিতর্কিত ভাবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারির কাছে ১৯০০ ভোটে পরাজিত হন।