নিউজ ডেস্ক : গত বছরের ২৬ শে নভেম্বর তারিখ থেকে শুরু হওয়া কৃষক আন্দোলনে এখনো পর্যন্ত প্রান গেছে আড়াই শ জন কৃষকের। তা সত্বেও কৃষি আইন প্রত্যাহার না করার ব্যাপারে নিজেদের একরোখা অবস্থানে অনড় রয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এতদিন চুপ থাকলেও এবার এই ব্যাপারে সরব হলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি বলেন এতদিন আন্দোলন করার পরে কৃষকরা যাতে খালি হাতে ফিরে না যায় সেটা অবশ্যই কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রকে কৃষকদের সঙ্গে সুষ্ঠু ভাবে আলোচনায় বসে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার নিদান ও দেন তিনি। তিনি জানেন তার এই মন্তব্যের কারণে বিজেপির নেতাদের চক্ষুশূল হতে হবে তাকে। তাই তিনি আগেভাগেই মন্তব্য করে বসলেন, যদি রাজ্যপাল পদ হারাতে ও হয় তবুও আমি সমর্থন করবো কৃষকদেরকে।
দিন কয়েক আগেই কৃষকদের সমর্থনে কথা বলে কেন্দ্রকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন মালিক। তাঁর দাবি ছিল, কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়া। নাহলে গেরুয়া শিবিরই রাজনৈতিকভাবে তো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বুধবার শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তাঁর সাফ কথা, “আমি কৃষকদের এই কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। এমনকী বিজেপি নেতারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। বিধায়কদের মারধর করা হচ্ছে। আমার মনে হয় কৃষকদের খালি হাতে বাড়ি পাঠানো উচিত না। সরকারের দ্রুত তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত।”
মেঘালয়ের রাজ্যপাল বলছেন,”একটা কুকুর মারা গেলেও মানুষ শোকপ্রকাশ করেন। অথচ, ২৫০ জনের বেশি কৃষকের মৃত্যুতেও কেউ একটা শব্দও খরচ করল না। এভাবে আন্দোলন চলতে থাকলে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় ক্ষতি হবে।” সত্যপাল মালিক বলছেন, এই মন্তব্যের পর যদি তাঁকে পদও ছেড়ে দিতে হয়, তাতেও ক্ষতি নেই। তাঁর কথায়,”অনেকে বলতে পারেন আমি এই মন্তব্য করে বিজেপির ক্ষতি করছি। কারও যদি এরকম মনে হয়, তাহলে আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতেই পারে। কিন্তু আমি দলের ক্ষতি করছি না। যারা এই সমস্যার সমাধান চাইছে না, আসলে তাঁরাই দলের ক্ষতি করছে।”