নিউজ ডেস্ক : প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য বিজেপি ভোট দিতে চাপ দিয়ে আসছে। বারবার এমন অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া সত্ত্বেও এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বহু গুন্ডাবাহিনীর সদস্য। তারাই ভোটারদেরকে বিজেপিকে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।
আর আজকে হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রে ও বিজেপিকে ভোট দিতে বলে বাহিনীর সদস্যরা। অস্বীকার করায় তৃণমূল এজেন্টদের মারধরের করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারও হাতে চোট লেগেছে, তো কারও আবার মাথা ফেটেছে। এমনকী, মহিলাদেরও রেয়াত করা হয়নি বলে অভিযোগ। শাসকদলের দাবি, তাঁদের আশ্রাব্য গালিগালাজ করেন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছ়ড়িয়ে ছড়াল ১৮৫ নম্বর বুথে।
আজ সকালেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে কোচবিহারের শিতলকুচিতে। সেখানে তাদের বিনা প্ররোচনায় চালানো গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর। কিন্তু নিজের পদমর্যাদার তোয়াক্কা না করে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন মোদি তাদেরকে গুন্ডা বলে অভিহিত করে আজ শিলিগুড়িতে এক জন সভায়। আপাতত সেখানে ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিত রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই ঘটনায় বিজেপি নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন।