প্রকৃত সত্য বেরিয়ে পড়বে, এই ভয়েই শীতলকুচিতে যেতে দিচ্ছে না কমিশন : মুখ্যমন্ত্রী

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

1617882142_mamata-domjur

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন বিজেপির পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করছে গত কয়েক বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রত্যেকটি নির্বাচনে। এমন অভিযোগ বিরোধী সব দলগুলোর। আর এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে আট দফায় ভোট করিয়ে এবং নজিরবিহীন সংখ্যায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়ন করে তাদের দিয়ে শুধু বিজেপিকে সাহায্যে করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগের বেশ কিছু যৌক্তিক কারণও রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। চলমান বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল না বলে মত বহু প্রাক্তন আমলার। এবার

শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃত সত্য চাপা দিতে সেখানে কাউকে যেতে দিতে চাইছে না কমিশন বলে অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

গতকালই শেষ হয়েছে রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোচবিহারের শীতলকুচিতে মৃত্যু হয় ৪ তৃণমূল কর্মীর। আর দলীয় কর্মীদের মৃত্যুর ঘটনায় গর্জে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা ব্যানার্জি বলেন, শীতলকুচিতে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত তথ্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে কমিশন।

 

৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমস্ত তথ্য সরিয়ে ফেলবে বলেই। আমায় ঢুকতে দিচ্ছে না। আর কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আহত হওয়ার ঘটনা কোথায় ঘটেছে দেখাক কমিশন!‌ কেন্দ্রীয় বাহিনীর আহত হওয়ার ঘটনা কোথাও ঘটেনি অথচ কমিশনের আধিকারিকরা আর পুলিশ সুপার বলছেন আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে নাকি বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রয়োজনে সিআইডি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে গোটা ঘটনা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অমানবিক আচরণ করছে। বাংলার নির্বাচনে কমিশন যেভাবে কাজ করছে তা নজিরবিহীন ঘটনা। দোষ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ক্লিনচিট দিচ্ছে কমিশন। বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপির নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মদতেই ঘটছে কোচবিহারের এই ঘটনা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই ভিডিও কল করে কোচবিহারের নিহত তৃণমূল কর্মীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য সহ সব ধরনের সাহায্য করা হবে বলে জানান মমতা ব্যানার্জি। আজকেই দেখা করতে যেতাম কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞায় যেতে পারলাম না। ৩ দিন বাদেই আমি কোচবিহার যাব। মৃতদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি নিহতদের পরিবারগুলিকে দেখে রাখার দায়িত্ব দেন কোচবিহারের তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়কে। যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব মমতা ব্যানার্জিকে নিষশানা করছেন। মোদি, দিলীপের মতো মতো বিজেপি নেতাদের দাবি, ভোটে হেরে যাবেন বুঝেই এখন মমতা ব্যানার্জি মিথ্যা নাটক করছেন। এমনকি মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েই মৃত ব্যক্তিদের গুন্ডা বলে আখ্যায়িত করেন যা নজিরবিহীন। এই ধরণের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত মমতা ব্যানার্জির। রাজ্যে এখনও বাকি আরও ৪ দফার ভোট। আর সেই ভোটগ্রহণের মাঝেই কোচবিহার কাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক তরজা আরও বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর