নিউজ ডেস্ক : আজই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১০৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে শিব সেনার তরফ থেকে। তারপর এল এক তাকে প্রেসিডেন্সী জেলে ঢোকানোর হুমকি। এবার হুমকি তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। অভিযোগ তিনি বিজেপির স্বার্থে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।
রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪ হেভি ওয়েট নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারের পিছনে প্রধান মুখ রাজ্যপাল ধনকর। তিনি রাত দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পিছনে পড়ে আছেন। রাজ্যপাল হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হলে তাকে প্রেসিডেন্সি জেল ঢোকানো হবে। হ্যাঁ, এমন ভাষায় রাজ্যপালকে বেনজীর আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, রাজ্যপাল মোদির কোম্পানির কর্মী।
সোমবার কার্যত নাটকীয়ভাবে নারদ কাণ্ডে চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই গ্রেপ্তারির পিছনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মদত রয়েছে বলেই এদিন দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল সকাল থেকে সন্ধে তৃণমূলের পিছনে পড়েছে। উনি ‘রক্তচোষা’।রাজ্যপালের মোবাইল-ল্যান্ডলাইন, ওনার সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ফোন খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে গ্রেপ্তারির পিছনে উনিই রয়েছেন।” সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা যায় না। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণবাবু বলেন, “আমি জানি এখন ওনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে আমি সবাইকে বলছি সব থানায় ধনকড়ের বিরুদ্ধে মামলা করুন। উনি যখন রাজ্যপাল থাকবেন না, তখন কেস শুরু করা যাবে। বলা যায় না, হয়তো প্রেসিডেন্সি জেলেই ওনার ঠাঁই হবে।” রাজ্যপাল তৃণমূল সাংসদ এর মন্তব্যের ব্যাপারে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্তব্যে স্তম্ভিত।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি উন্মাদের মতো কথা বলছেন। দলেই ওনার কোনও গুরুত্ব নেই।” দিলীপ ঘোষকেও পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ বদ্ধ উন্মাদ, অশিক্ষিত। অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন, হাত ভাঙবেন, পা ভাঙবেন। কী লাভ হল? সবাই ওনাকেই শুইয়ে দিল। উনিই এখন বিজেপির কাছে অবাঞ্চিত।”