ভুয়ো সিবিআই সনাতন রায়চৌধুরী যোগ দিয়েছিলেন ব্রিকস সম্মেলন। স্বাভাবিকভাবে সনাতন কাণ্ডে বিজেপির অভিযোগ রয়েছে কি না, এবার সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। এনিয়ে বিজেপিকে চিঠি পাঠাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, গড়িয়াহাটের সম্পত্তি প্রচারণার কাজে গেরুয়া শিবিরের কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা জানতেই এই চিঠি।
রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল ও সিবিআইয়ের কৌশুলি পরিচয় দিয়ে গড়িয়াহাট এলাকায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল সনাতন রায়চৌধুরী। গত ৩০ জুন পুলিশের মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে চক্ষুচড়কগাছ তদন্তকারী অফিসারদের।
সোমবার গড়িয়াহাট থেকে গ্রেফতার করা হয় সনাতনকে। এরপরই তার সঙ্গে বিজেপি যোগের প্রামাণ্য নথি ওঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে বিজেপির প্রাথমিক সদস্য পদের রশিদ পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, সনাতন ২০১৪ সাল থেকেই একজন বিজেপির সদস্য ছিল। শুধু তাই নয়, জেরাই সনাতন জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে তিনি ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এরপরই আরও সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশের। সনাতন-বিজেপি যোগ স্পষ্ট। তবে প্রচারণার কাজে তাকে সরাসরি কেউ সাহায্য করতো কি না, এবার সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
শুধু বিজেপি নয়, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের সনাতনের থেকে এই সমস্ত তথ্য পাওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকেও চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তদন্তকারী অফিসারদের মাথায়। একজন ভুয়ো পরিচয় ব্যবহারকারী ব্যক্তি কীভাবে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন? তাহলে কি সে সরাসরি সাহায্য পেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের? বিদেশমন্ত্রকও কি দায় এড়িয়ে যেতে পারে? কীভাবে তাকে সাহায্য করা হয়েছে এবং কেনই বা সাহায্য করা হয়েছে? এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব-সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রককে।