সল্টলেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দফতরের বাইরে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে তাঁদের গুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে। আজ আদালতের শুনানির মধ্যেই অ্যাকাডেমিক স্কোরে গরমিলের অভিযোগ উঠল। অনেকের অ্যাকাডেমিক স্কোর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। অন্যদিকে, তথ্য আপলোডের পরেও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছেনা। তথ্য আপলোড হয়নি ।এদিন এসএসসি দফতরের বাইরে কমিশনের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান চাকরিপ্রার্থীরা।
বইরে হইচই হলেও কমিশনের তরফে কোনও উত্তর আসেনি। ফলে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে চলছে তুমুল বাকবিতণ্ডা। একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য তাঁদের কোনও মেল করা হয়নি। কোনও ফোন আসেনি। এর পরেও তাঁরা ডকুমেন্ট আপলোড করেছেন। এবং তা এসএসসি’র সাইটে সফলও দেখিয়েছে। তথ্য আপলোডের প্রমাণও রয়েছে তাঁদের কাছে। অথচ এর পরেও অনেকের নাম রিজেক্ট লিস্টে চলে গিয়েছে। তাঁরা ডকুমেন্ট আপলোড করেননি বলে এসএসসি’র তরফে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে। চাকরি প্রার্থীদের আরও দাবি, তাঁদের সকলেরই কাট অফ মার্কস রয়েছে। শুধু তাই নয় পরীক্ষার নম্বর আপলোড করা হলে অনেকেরই নাম প্রথম সারিতে থাকবে।
এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সফল ভাবে সকল তথ্য আপলোড করেছি। ২০১৯ সালে ইন্টারভিউ দিয়েছি। ২০২১ সালে আবার আপলোড করেছি। এর পর দেখাচ্ছে আমার তথ্য আপলোড হয়নি। এটা কী ভাবে সম্ভব? মামলা হয়েছে বলে এটা জানতে পেরেছি। এই প্যানেলে রিক্রুট হলে কী হত?
এদিকে, ইন্টারভিউ তালিকার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে উচ্চ প্রাথমিকের ১৩৬ জন প্রার্থী। তাঁদের দাবি, ২০১৯ সালের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশ মানা হয়নি। প্রকাশ করা হয়নি স্বচ্ছ ইন্টারভিউ তালিকা।