নিউজ ডেস্ক : মরুশহরে এ বার সত্যিই গতবারের রিপ্লে চান না ধোনিরা। আর মাহিব্রিগেড তার প্রমাণ দেখাল প্রথম ম্যাচেই। আরব দেশে এই মরসুমে চেন্নাই কি ফের বিপর্যস্ত হবে? আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে শুরুর দিকে এমনটাই মনে হচ্ছিল। অন্তত সিএসকের পাওয়ার প্লে-তে যেভাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল চেন্নাই তাতে মনে হচ্ছিল ইয়েলোব্রিগেডের ভদ্রস্থ রান করাটাও কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা তো ট্রেলার ছিল। আসল ছবি তো বাকি ছিল। রবিরাতে সিএসকের হিরো ঋতুরাজ গায়কোয়াড়।
প্রথম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফাফ ডু প্লেসি ফেরেন শূন্য রানে। তিনে নেমে রানের খাতা খুলতে পারেননি মইন আলিও। দ্বিতীয় ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে পয়েন্টে সৌরভ তিওয়ারির দারুণ ক্যাচে ফেরেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। ওই ওভারেই কনুইয়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন আম্বাতি রায়ডু।এরপর তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মাত্র চার রান করে দলীয় ৭ রানের মাথায় ফেরেন সুরেশ রায়না। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি ৫ বলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন মিলনের শিকার হয়ে। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে চেন্নাইয়ের রান তখন কেবল ২৪।
তবে এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার রুতুরাজ। ৫৮ বলে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন লড়াই করার মতো পুঁজি। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে ৬৪ বলে ৮১ ও ব্রাভোর সঙ্গে ১৬ বলে ৩৯ রানের দুটি জুটি গড়েন তিনি। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে চেন্নাই তোলে ১৫৬ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রোহিতের অভাব বোধ করতে থাকে মুম্বই। প্রথম থেকেই সেকরকমভাবে কোনও বড় পার্টনারশিপই গড়ে তুলতে পারেনি নীলজার্সিধারীরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। আর শেষপর্যন্ত তারই খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৩৬ রানেই থেমে যায় কায়রন পোলার্ডদের ইনিংস। ৫০ রানে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সৌরভ তিওয়ারি। কিন্তু অপরদিক থেকে তেমন কোনও সাহায্যই পাননি তিনি। ফলে দিনের শুরুটা খারাপ খেললেও শেষ হাসি হাসল সেই ধোনির দলই। শুধু তাই নয়, লিগ টেবিলে শীর্ষেও উঠে এল চেন্নাই। তবে এর পাশাপাশি রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ডিয়াকে প্রথম একাদশে না খেলানো নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন উঠছেই।
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ১৫৬/৬ (ঋতুরাজ ৮৮*, জাদেজা ২৬, মিলনে ২/২১, বুমরাহ ২/৩৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (সৌরভ তিওয়ারি ৫০*, ডি’কক ১৭, ব্র্যাভো ৩/২৫)
চেন্নাই ২০ রানে জয়ী।