তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেনের সাথে বিরোধ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন এরদোগান

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

এরদোগান, বাইডেন, nayadiganta, bd news papaer
এরদোগান, বাইডেন, nayadiganta, bd news papaer

 

বাইডেনের সাথে বিরোধ সত্ত্বেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন যাতে করে মার্কিন সরকারের সাথে আবারো সুসম্পর্ক তৈরি করা যায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তানে তুরস্কের ইতিবাচক ভূমিকার কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ দিয়েছে।

এদিকে এ বছরের শুরুতে রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার দায়ে তুরস্ককে দোষারোপ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। পরে গত মাসে তালিবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ব্লিংকেন টুইটারে বলেন, তুরস্ক ছিল ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এবং এ অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।

মার্কিন কর্তৃপক্ষের কথার ধরনে এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করে রজব তাইয়েব এরদোগান বুঝতে পারলেন এখনই সময় আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার। এ কারণে বর্তমান মার্কিন সরকারের সাথে কয়েক বছরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। রোববার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে অংশ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বলা হলেও আসল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আগের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার।

পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেন পলিসি সেন্টারের ফেলো এমরে কালিস্কান বলেন, রজব তাইয়েব এরদোগানের এ নীতি পরিবর্তনের একমাত্র কারণ বাইডেনের সাথে হওয়া এক বৈঠক। ওই বৈঠকে জো বাইডেনকে এরদোগান এ বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে আফগানিস্তানে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে তুরস্ক।

জুনে ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেনকে এরদোগান এ বিষয়ে পরামর্শ দেন যে কাবুল বিমানবন্দর রক্ষায় তুরস্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আঙ্কারাভিত্তিক জার্মান মার্শাল ফান্ডের পরিচালক ওজগুর উনলুহিসারসিকলি বলেন, আফগানিস্তান হলো একটি অজুহাত। আসলে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয়ে স্বার্থের সম্পর্ক আছে। এছাড়া তুরস্কের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র উপকৃত হচ্ছে। আসলে আফগানিস্তান ইস্যুকে তুরস্ক এমন একটি বিষয়ে পরিণত করতে চায় যার মাধ্যমে পশ্চিমাদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।

সূত্র : নয়া দিগন্ত

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর