নিউজ ডেস্ক : দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। কিন্তু তারপর বারংবার বেসুরো মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে উপনির্বাচনের পরে সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতবেন বলে দাবি করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিতে থেকেও বারবার দল বিরোধী মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও সুনাম করেছেন তিনি। এই নিয়ে দলের কু নজরে এসেছেন। এবার ফের একবার ভবানীপুর নিয়ে গড়িয়াহাটে বসেই ভবিষ্যৎ বানী করে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
রাজ্য রাজনীতিতে একসময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির গুড বয় ছিলেন রাজীব। বনদপ্তর ও অনগ্রসর শ্রেণীকল্যান দপ্তর ছাড়াও মন্ত্রী হিসেবে সামলেছেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ বিভাগও। এবছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। ডোমজুড় বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বীতাও করেছিলেন। কিন্তু হেরে যান এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ ঘোষের কাছে।
কার্যত এরপরেই কিছুটা রাজনৈতিক সন্ন্যাসে চলে যান রাজীব। সরকারিভাবে এখনও বিজেপি না ছাড়লেও বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁকে আর কোনও বিজেপির অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। বরং ফেসবুকে নাম না করে যেমন বিজেপির সমালোচনা করেছেন তেমনি রাজ্যের বিরোধী নেতারও সমালোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে। নির্বাচনের পর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে দেখাও করেছেন। যদিও কুণাল এবং রাজীব দু’জনেই এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই দাবি করেছেন। তৃণমূল নেতাদের কয়েকজন এই সাক্ষাৎকে কিন্তু কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এই মুহুর্তে বিজেপির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব অনেকটাই। বহু বিজেপি নেতাকেই বলতে শোনা গেছে, রাজীব তাঁদের কাছে এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার।
ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার না হলেও এদিন রাজীব ছিলেন সক্রিয়। সকাল থেকেই চোখ রেখেছেন টিভির পর্দায়। তাঁর কথায়, ‘টিভিতে যেমন চোখ রেখে বসেছি তেমনি ফোনেও অনেকের থেকে খবর নিয়েছি। কারণ, আমি তো একজন রাজনীতিক।’