হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলকর্মীকে মারধোর করে জমি জবরদখলের অভিযোগ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে

শেখ সাদ্দাম, হরিশ্চন্দ্রপুরঃ এক তৃণমূল কর্মী দম্পতির জমি জোর করে জবর দখলের অভিযোগ উঠল এলাকারই কংগ্রেস নেতা ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই জমি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ওই দম্পতি সহ তাঁর ছেলেদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমলা গ্রামে।যদিও শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই জমি দখল বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শিমলা গ্রামের রাস্তার ধারে চার কাঠা জমি রয়েছে শেফালী বিবি ও তাঁর স্বামীর। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু এলাকার দাপটে কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাহেব দুজনে মিলে জবর দখল করে রেখেছে শেফালী বিবির জমি। শেফালী বিবি ও তাঁর স্বামী এব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের এবং তাঁদের ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে শেফালী বিবি থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত এখনও অধরা। যদিও এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

তাদের দাবি, এটা শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলের লড়াই। এরমধ্যে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা মনিরুল ইসলাম ও সাহেব।

এ প্রসঙ্গে শেফালী বলেন,  “এলাকায় একটি রাস্তার ধারে আমাদের চার কাঠা জমি রয়েছে। সেখানে এলাকার কংগ্রেস নেতা সাহেব ও মনিরুল জোরপূর্বক বাড়ি করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের বেধড়ক মারধর করে। আমাদের জমি ছাড়তে ওরা নারাজ। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাতে আমাদের জমি ফেরত দেওয়া হয়।”

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শুভান জানান, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। এলাকার সবাই জানে তৃণমূলের শাসকগোষ্ঠীর লোকেরাই এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ, জমি মাফিয়াগিরি করে বেড়াচ্ছে। কংগ্রেসের কোনও নেতা এতে জড়িত নয়। এটা ওদের শাসকগোষ্ঠীর দুই দলের লড়াইয়ের ফল। সঠিক তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, ” আমরা শুনতে পেয়েছি এলাকার আমাদের দীর্ঘদিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী শেফালী বিবির উপর কংগ্রেসের জমি মাফিয়া অত্যাচার করেছে, মারধর করেছে এবং তাঁর জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নিতে আবেদন জানাই আমরা।”

Latest articles

Related articles