ত্রিপুরায় হিন্দুত্ববাদীদের ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’র তদন্তর মামলা, সুপ্রিম কোর্ট আবেদন শুনতে প্রস্তুত

এনবিটিভি ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ত্রিপুরায় চলতি বছরে অক্টোবর মাসে ঘটে যাওয়া “সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা” মামলার তদন্তের কাজ অতি তৎপর চালানোর নির্দেশ দেয়। ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের জটিলতা এবং নিষ্ক্রিয়তার একটি স্বাধীন তদন্তের দাবিতে একজন আইনজীবীর আবেদন শুনতে রাজি হয় বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূদ-এর বেঞ্চ এবং এ.এস. বোপান্না কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব চেয়েছেন।

 

সুপ্রিম কোর্টে ত্রিপুরা এই মামলার আবেদনকারী এথেশাম হাশমির পক্ষে নিয়ে অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ বলেন যে, ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি এবং এই দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার তদন্ত চা

 

অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ আরও বলেন, আদালতে ত্রিপুরা সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। কিছু আইনজীবী যারা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে গিয়েছিলেন, তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) সাংবাদিকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সহিংসতার ঘটনার সাথে যুক্ত ব্যাক্তিদের পুলিশ একটিও এফআইআর নথিভুক্ত করেনি। আমরা চাই এই সমস্ত বিষয় আদালতের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা একটি স্বাধীন প্যানেলের দ্বারা তদন্ত করা হোক

 

উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা সম্প্রতি অগ্নিসংযোগ,লুটপাট এবং সহিংসতার ঘটনা দেখা গিয়েছেএই হামলার কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ থেকে রিপোর্ট এসেছিল যে, দুর্গা পূজার সময় হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রভাব ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপরে গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের এক মিছিলের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়।

 

হাশমি অভিযোগ এনে আবেদন করে বলেন যে,পুলিশ কর্তৃপক্ষ অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে এই ঘটনা ঘটায় এমনকি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের ভিত্তিতে দাঙ্গাবাজদের মধ্যে হতে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। যেখানে ১২টি মসজিদ,নটা দোকান ও অনেক সংখ্যক ঘর ধ্বংস করা হয়, সব গুলই ছিল মুসলিমদের অধিনে।

 

হাশমির আবেদনে আরও বলা হয়েছে যে,পুলিশ এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষ সহিংসতা বন্ধ করার চেষ্টা করার পরিবর্তে ত্রিপুরায় কোথাও কোনও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নেই বলে দাবি করে প্রকাশ্য ধ্বংসলীলা চালালেও তারা মসজিদগুলোতে আগুন দেওয়ার খবর অস্বীকারও করে।

 

সুশীল সমাজের সদস্যরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরেই যারা একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির অংশ নিয়ে ছিলেন, তারা বেআইনি কার্যকলাপ আইন ১৯৬৭এর কিছু বিধানের সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন তারা এই কারণে চ্যালেঞ্জ করেছেন যে,সংবিধানে বেআইনি কার্যকলাপের সংজ্ঞা অস্পষ্ট,প্রশস্ত এবং অধিকতর বিস্তর

 

 

Latest articles

Related articles