এনবিটিভি, মালদা : মুখে অশালীন ভাষা। নির্মমভাবে রাস্তার উপরে ফেলে এক বৃদ্ধকে ঘিরে ধরে মারধর করা হচ্ছে। তাতে সামিল শাসকদলের প্রধান ও কয়েকজন সদস্য। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাতে কাঠের বাটাম নিয়ে বাসিন্দাদের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন প্রধান। মুখে গালাগালি। এক বৃদ্ধকে কাঠের বাটাম দিয়ে মারতে দেখে বাসিন্দাদের বলতে শোনা যাচ্ছে, বয়স্ক মানুষকে কেন মারছেন। শাসকদলের প্রধানের এমনই দুটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর।
তিনি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মোবারক হোসেন। শাসকদলের প্রধানের এহেন ভূমিকায় দেখে এলাকা জুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন প্রধান নিজের হাতে আইন তুলে নিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার কাজের ঠিকাদার প্রধানের ভাই আর ভাইপো। দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় তাদের বাঁচাতে এভাবেই প্রধান মাঠে নেমে হামলা করেছেন। যদিও প্রধানের দাবি, তার ভাইপোকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তাই কাঠের বাটাম হাতে বাসিন্দাদের তাড়া করে সরিয়ে দিচ্ছিলাম। যদিও শাসকদলের প্রধানের এমন আচরনকে ঘিরে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
ঘটনাকে ঘিরে শাসকদলের একাংশ ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি এভাবেই উন্নয়ন চলছে ও কাটমানির সরকার বলে ফের শাসকশিবিরকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে বাসিন্দারা সরব হওয়ায় প্রধান এভাবে আইন তুলে নিয়ে বাসিন্দাদের মারধর করেছেন ও শাসিয়েছেন। পুরো ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।