এনবিটিভি ডেস্কঃ মাদ্রাসা শিক্ষা আইন বাতিল করতে গত বছর প্রণীত আসাম আইনকে শুক্রবার গৌহাটি হাইকোর্ট বহাল রেখেছে। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে আসামের সমস্ত সরকার চালিত প্রায় ৬২০ টিরও বেশি মাদ্রাসাগুলি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। আসাম রিপিলিং অ্যাক্ট ২০২০-এর ভিত্তিতে ৩০ ডিসেম্বরে মাদ্রাসাগুলি সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য ২০২০ সালে মাদ্রাসা আইন বাতিল করে সাধারণ স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্থাব আনে আসাম বিধানসভায়। এই বিল পাস হওয়ার পরে রাজ্যপালের সম্মতি পেয়েছিল। এরপর শুক্রবার গৌহাটি হাইকোর্ট বহাল রেখেছে সূত্রে জানা জানা যায়।
আদালতের পক্ষথেকে জানান হয়, “আবেদনকারীদের দাবি যে, এই মাদ্রাসাগুলি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান এবং সংখ্যালঘুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়েছিল এমন একটি দাবি যার কোন ভিত্তি নেই, তাই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।”
গৌহাটি হাইকোর্টের থেকে আরও যুক্তি দেখান হয় যে, “সংবিধানে আইনের সামনে সব নাগরিক সমান। অতএব আমাদের মতো বহু ধর্মীয় সমাজে যে কোনো একটি ধর্মকে রাষ্ট্র কর্তৃক অগ্রাধিকার দেওয়া ভারতের সংবিধানের ১৪ এবং ১৫ অনুচ্ছেদের নীতিকে অস্বীকার করে। এইভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষণাবেক্ষণ করা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় নির্দেশ দেওয়া হবে না।”
অনেক মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি আসাম রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবং হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেছিল যে, “মাদ্রাসাগুলিকে নিয়মিত এবং সাধারণ বিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জন্য আদর্শ অপারেটিং পদ্ধতি সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে।”
এদিন হাইকোর্টের আদেশকে স্বাগত জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এটিকে একটি যুগান্তকারী রায় বলে অভিহিত করেছেন।