সৌদিতে ধ্বংস হওয়া ড্রোনের আঘাতে আহত ১২

সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের রাজধানী আবহার বিমাানবন্দরে এক ড্রোন হামলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে এই হামলায় অন্তত ১২ বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএতে জানানো হয়।হামলায় আহতদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের পর্যটক ও শ্রমিক রয়েছেন।এসপিএর খবরে হামলার জন্য ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাউছিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।তবে হাউছিদের পক্ষ থেকে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। ইয়েমেনে হাউছিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত আরব জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেসামরিক বিমানবন্দর ও পর্যটকদের লক্ষ্য করে এই হুমকির কঠোর জবাবের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বের আরব জোটের সামরিক বাহিনী প্রবেশের পর থেকেই ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো হাউছিদের হামলার শিকার হয়ে আসছে। একইসাথে সম্প্রতি সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও আরব জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে তারা।২০১১ সালে আরব বসন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের বিক্ষোভের জেরে ইয়েমেনে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক আলী আবদুল্লাহ সালেহ সরকারের পতন ঘটে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদি দায়িত্ব নেন। নতুন সরকার গঠন হলেও ইয়েমেনের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকে। বিবাদমান পক্ষগুলোর দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৪ সালের শেষে ইরান সমর্থিত উত্তর ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করলে প্রেসিডেন্ট হাদি সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি নেতৃত্বের জোট হাউছিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে আগ্রাসন করলে দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশটি।ছয় বছরের বেশি সময় চলমান এই গৃহযুদ্ধে হাউছি নিয়ন্ত্রিত সানাকেন্দ্রীক উত্তর ইয়েমেন ও বন্দর নগরী এডেনকেন্দ্রীক দক্ষিণাঞ্চলীয় সরকারের অধীন দক্ষিণ ইয়েমেনে বিভক্ত হয়ে পড়ে।ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধ-সংঘাতে এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোকজন। এছাড়া যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো মানুষ।

সূত্র : নয়া দিগন্ত

Latest articles

Related articles