ইচ্ছামতো পণ দিতে না পারায় স্বামীর হাতে খুন হল গর্ভস্থ সন্তান। অত্যাধিক অত্যাচারে গর্ভস্থ সন্তানকে হারালেন গৃহবধূ এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই তার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,প্রায় দুই বছর আগেই ময়নাগুড়ি উত্তর খগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা পম্পারায়ের সঙ্গে ময়নাগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আসিস রায়ের বিয়ে হয়।
পরিবার সূত্রে দাবি, বিয়ের পর থেকেই একাধিকবার পণের দাবীতে পম্পা রায় এর উপর নির্মম অত্যাচার চালাতে থাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এর আগেও অত্যাধিক অত্যাচারের ফলে পম্পা দেবীর গর্ভে আরেকটি সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
স্বামীকে না ছেড়ে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন বধু। এত নির্মম অত্যাচার সহ্য করার পরেও একসঙ্গে থাকছিলেন তিনি তারপর পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হন পম্পা নামক ওই মহিলা।
তারপর বেশ কয়েকদিন আগে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পণের জন্য চাপ দিতে শুরু করে। গরিব ঘরের মেয়ে কোথা থেকে এত পণ পাবে।
চাহিদামত পণ দিতে না পারায় বেধড়ক মারর পর দ্বিতীয় বারেও তার গর্ভের সন্তান মারা যান। এই ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে হাসপাতালে চিকিৎসা চলে তার যদিও হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পেয়ে গেছেন তবে শারীরিকভাবে এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেননি। পরপর দুইবার গর্ভস্থ সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এই বধূ।