“হিসেবটা ঠিক মিলছে না রে তোপসে”। হেডিং পড়া মাত্রই এই বিখ্যাত ডায়লগটি প্রথম মাথায় এলো তাই না ? ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তব।

গুন্ডামির অভিযোগ এবার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের লালগোলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে গুন্ডামি করে বসে পুলিশ অফিসার। হাসপাতালে উপস্থিত কর্মরত চিকিৎসক, নার্সদের মারধরের অভিযোগ ওঠে, বাদ যায়নি পুলিশ কর্মীরাও। এই ঘটনার জেরে শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর, বীরভূম জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি পদে নিযুক্ত আশরাফুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনা প্রসঙ্গে, বীরভূম জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি সহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওসির পরিবারের কিছু সদস্যকে। ঘটনায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি নিজের মাকে নিয়ে লালগোলা কৃষ্ণপুর হাসপাতালে পৌঁছন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। এরপর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন স্বয়ং বীরভূম জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি। এরপর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মী, নার্স এমনকি পুলিশকর্মীদের মারধর করেন। তার মারের প্রভাবে লালগোলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর দেবব্রত দত্ত সহ থানার আর এক সাব-ইন্সপেক্টর কল্যাণ সাধন, জখম হন।

এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওসির স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বিবি, লালগোলা থানার ওসি অতনু দাসের কলার ধরে মারধর করছে। এমনকি সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে ধৃতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার অপরাধে সাসপেন্ড করা হয়েছে বীরভূম জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ওসি আশরাফুল শেখকে।