শনিবার সকালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত একাধিক ড্রোনের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোনগুলি তুরস্কে নির্মিত এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সেগুলো ভারতের বিরুদ্ধে, সাধারণ নাগরিকদের হত্যার ষড়যন্ত্রে ব্যাবহার করেছিল। তবে, ভারতের উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাছে সমস্ত ড্রোনই ব্যর্থ হয়ে পড়ে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে ড্রোনগুলির গায়ে তুর্কি প্রযুক্তির স্পষ্ট ছাপ মিলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতে চলা সহযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও ভারতীয় সেনা এই হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে, তবুও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ভারত-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা বলছেন।

তুরস্কের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র পাকিস্তানের হাতে আসা এবং তা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার এই ঘটনায় কূটনৈতিক স্তরে দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন বাড়তে পারে। ভারত ইতিমধ্যে তুরস্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এই ঘটনায় ভারতের সীমানা পাহারায় ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তির ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসিত হলেও, বৈদেশিক নীতিতে তুরস্কের অবস্থান ও ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, “পাকিস্তানের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের ভারত-বিরোধী কার্যক্রমে তুরষ্কের উপস্থিতি ভূমিকা উদ্বেগজনক।” আগামী দিনে এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের কূটনৈতিক সক্রিয়তা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।