তুরস্কের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছি। তুরস্ক আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আক্টর। তুরস্ক বিশ্বের সম্মানিত এবং শক্তিশালী একটি দেশ। ইসলাম উম্মতের কাছে তুর্কি রাষ্ট্র এবং জাতির বিশেষ স্থান রয়েছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক অন্য কোন দেশের সাথে তুলনা করা যাবে না। আমি স্পষ্ট ঘোষণা করছি, আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত হিসেবে আমাদের অন্য যে কোন দেশের চেয়ে তুরস্কের বন্ধুত্ব, সমর্থন ও সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
“আফগানিস্তানের ভূগর্ভস্থ সম্পদ আছে। কিন্তু সেগুলোকে উত্তোলন/ব্যাবহার করার শক্তি আমাদের নেই। হানাদার ও লুটেরা শাসকদের কারণে আমাদের অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে।আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি, নির্মাণ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে এবং ভূগর্ভস্থ সম্পদ প্রক্রিয়াকরণে তুরস্কের সহযোগিতা চাই। আমাদের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য সম্পূর্ণরূপে ঠিক হওয়ার পরই (সরকার গঠন এবং স্থিতিশীলতা আসার পরে) এই সব বিষয়ে তুর্কি ভাইদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আশা করছি।”
সবচেয়ে চমকপ্রদ হলো তুরস্কের সেনাবাহিনী এখনো কাবুল বিমানবন্দরে থাকলেও তুরস্ক বলেছে তালিবান না চাইলে তারা বিমানবন্দরে থাকবে না। তালিবান চাইলে তুরস্ক অর্থনৈতিক, কারিগরি যেকোন সাহায্য দিতে প্রস্তুত। তুরস্ক তা লে বা নের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করবে না। আর তা লে বা নও তুরস্কের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করবে না।
সূত্র : নয়া দিগন্ত