এনবিটিভি ডেস্ক : শনিবার নন্দীগ্রামে গিয়ে কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, ‘আমি প্যারাশুটে নামিনি। লিফ্টে করেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠে এসেছি। তাই, ও সব করে কোন লাভ হবে না।’ সেই মন্তব্য ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই। আর রবিবার সেই বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষ্যে দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন দলের আরেক বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেই এবং শুভেন্দুর সুরেই তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড় আমার কাছে। আমিও অনেকের মতই সিঁড়ি ভেঙেই এখানে এসেছি।’ এখানেই থামেননি তিনি, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির চক্রান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শীলভদ্র বলেন, ‘কোন দিনও আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু এখন কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছেন, মুকুল রায়ের কাছ থেকে আমি নাকি ৭ কোটি টাকা নিয়েছি। আর অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে আমাকেও নাকি গ্রেফতার করা হবে হবে!’
উল্লেখ্য, আগেই শীলভদ্র জানিয়ে দিয়েছিলেন, ব্যারাকপুর থেকে আর ভোটে লড়বেন না তিনি। এদিন সেই অনুষঙ্গ টেনেই আবারও বলেন, ‘ভোটে আর দাঁড়াব না আমি। যদিও দল এখন আমার অসুস্থতার দোহাই দিচ্ছে। কিন্তু আসল কথাটা যে কী, সেটা সবাই জানে। কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে তা বলতে পারছে না।’ মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন শীলভদ্র দত্তও এবার বোধহয় পা বাড়াবেন বিজেপির দিকে। কিন্তু তারপরও শীলভদ্র তৃণমূলেই থেকে গিয়েছেন। কিন্তু এবার কি সামনের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে বিজেপিতে যাবেন শীলভদ্র? জল্পনা উসকে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।