নিউজ ডেস্ক : নজরবন্দী হওয়ার পরও উধাও অনুব্রত। হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছে কমিশন। গতকাল সন্ধ্যা ৫ টা থেকে আগামী ৩০ তারিখ সকাল ৭ টা পর্যন্ত তাকে নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই সময় তিনি একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে থাকার কথা তার। কিন্তু তারই মধ্যে উধাও তিনি। এক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে কমিশন (Election Commission)। বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে আধিকারিকদের সামনেই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। গাড়িতে করে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশে। পিছনেই গাড়িতে ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। আচমকাই একটি রাস্তার বাঁক থেকে উধাও হয়ে যান অনুব্রত। তাঁর গাড়ির হদিশ পাননি কমিশনের প্রতিনিধিরা। কোথায় গেলেন ‘কেষ্ট’দা? সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা হন্যে হয়ে খুঁজছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। অনুব্রত বীরভূমের স্পর্শকাতর এলাকা তথা নানুর ও সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভোটের দামামা বাজার পর থেকেই ভয়ংকর খেলার ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত। কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে কার্যত খেলাই দেখালেন তিনি।