
তারাবির পড়ে ফেরার পথে আক্রান্ত মুসল্লিরা তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ি ফেরার পথে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৩ মার্চ) আহমদাবাদের ভাটভায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা মুসল্লিদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করছিল। শিশুরাও এই দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। আরও জানা গেছে, আক্রমণকারীদের কেউ কেউ মুখোশ পরা ছিল। এমনকী মুসলমানদের বাড়িঘর লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়া হচ্ছিল। ধরালো ছুরি দেখিয়ে কাউকে কাউকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। আক্রান্তদের দাবি, প্রতি বছর রমযান মাসেই এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। তবুও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আক্রান্তরা স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। অভিযোগে অমিত এবং সুনীল নামে দুই আক্রমণকারীর নাম সামনে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নাম সামনে আসার পরেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ জানাতে যাওয়া ব্যক্তিদের থানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। অবশেষে অভিযোগ গ্রহণ করা হলেও আক্রান্ত ব্যক্তিরা নাম ধরে শনাক্ত করার পরেও অভিযুক্তদের অজ্ঞাতপরিচয় বলে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশের এই ভূমিকায় স্থানীয় মুসলিমরা হতাশ এবং তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ মেহেদী সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি আমাদের কিছু ঘটে, তাহলে কে দায়িত্ব নেবে?’ তিনি প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আরও বলেন, প্রশাসন বার বার আক্রান্তদের সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেয়। কিন্তু বাস্তবে অভিযুক্তদের বিনা তদন্তে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপরাধীদের শাস্তি তো দূরঅস্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার ফলে যাতে এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি না হয় সেই উদ্দেশ্যে একটি ভিডিয়ো ক্লিপসে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ মেহেদী। পবিত্র রমযান মাসে এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষার করার দায়িত্ব প্রশাসনের। তাদের কাছে আবেদন জানাব নারী শিশু-সহ সকলের মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে তাও দেখতে হবে। প্রশাসনের কাছে ইনসাফের দাবি
করা হয়।