নিউজ ডেস্ক : বাবুলের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে কার্যত বিস্মিত বঙ্গ বিজেপি। সেই সঙ্গে ধেয়ে এল একের পর এক আক্রমণ। আসানসোলের দু’ বারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ শানাল বঙ্গ বিজেপি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “বাবুলের সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। দলের এক বিশেষ সময় এসেছেন। দু’বার মন্ত্রী বানানো হয়েছে। মন্ত্রী হারাবার পর জানিয়েছেন তিনি দল ছাড়বেন না। আজ নাটকীয় ভাবে যোগ দিলেন তৃণমূলে!” এর পর শমীকের মন্তব্য, “রাজনীতি-তে থাকতে হলে, মন্ত্রী থাকতে হবে – এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।”বাবুল আসানসোল বাসীদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। ও ফুটবল খেলেছিলেন অল্প দিনের জন্য, চাকরি করেছিলেন অল্প দিনের জন্য, গান গেয়েছেন অল্প দিনের জন্য। সবসময়ই দাবি করেন, হঠাৎ করে হয়েছে। তবে এটি পূর্বপরিকল্পিত। যখন নির্বাচন চলছে তখন নাটকীয়ভাবে শিবির বদল করলেন। ২০২৪-এ আসানসোল থেকে পদ্মফুলের প্রার্থী জিতবেন। এখন ওঁর ভালবাসা কমে গিয়েছে বলছেন বাবুল, তবে কি মন্ত্রিত্ব থাকলেই দল ভালবাসে নয়ত ভালবাসে না? আগে ওঁকে পদত্যাগ করে দলত্যাগ করা উচিত ছিল, নয়তো দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর সাংসদ পদ চলে যাবে। মানুষ তাহলে ২০২৪-এর আগেই জবাব দিয়ে দেবে।’
এদিকে বাবুলের দলবদল প্রসঙ্গে টুইট করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে বিপদে ফেলছে বিশ্বাসঘাতকরা। বেচারা বাবুল সুপ্রিয়র ওপর রাগ করে আর কী হবে? ও তো প্রথম বিশ্বাসঘাতক নয়, শেষও নয়।’ এরই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘কিন্তু মতাদর্শ চিরন্তন। ব্যক্তিপূজা কখনও মতাদর্শকে হারাতে পারবে না। বিপদ কেটে যাবে।’ তবে কি দলে আরও বিশ্বাসঘাতক রয়েছে? শেষ নয় বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন?তথাগতবাবু বলেন, ‘এ নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আপনাদের ওপরেই এটি ছেড়ে দিলাম।’