দুঃসময় কেটে যাচ্ছে! মহারাষ্ট্রে কমছে দৈনিক সংক্রমন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210414_120151

নিউজ ডেস্ক : সারা ভারতে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।  প্রবল দুঃসময়ের মধ্যেও এক আশার আলোর দেখা গেল মহারাষ্ট্রে। শেষ কয়েকদিনে ওই রাজ্যে নতুন সংক্রমণ আর বাড়েনি। গত এক সপ্তাহে সীমাবদ্ধ রয়েছে ৬০,০০০-এর মধ্যেই। সংক্রমণে এই স্থিতিশীলতা চলছে টানা দু’ সপ্তাহ ধরে যা সামান্য হলেও আশাব্যঞ্জক। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল ‘ট্রান্সমিশন রেট’ ১.৩৮ থেকে কমে ১.১৩ হওয়া।

 

কী এই ট্রান্সমিশন রেট?
একজন আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নতুন সংক্রমণের হারকেই বলা হয় ট্রান্সমিশন রেট। ইংরিজি R অক্ষর দিয়ে বোঝানো এটি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই ট্রান্সমিশন রেট ছিল ১.৩৮ অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছিলেন ১৩৮ জন। এখন তা কমে হয়েছে ১.১৩। মার্চের ১০-২৫ তারিখে ছিল ১.৩৪, ৩০ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিলে ছিল ১.২৪ এবং এপ্রিলের ৭-২০ তারিখে ছিল ১.১৩। অর্থাৎ, ক্রমশই কমেছে ট্রান্সমিশন রেট।

 

সবথেকে উন্নতি হয়েছে মুম্বইয়ের। গত দু’ দপ্তাহ ধরেই সংক্রমণের সংখ্যা কমছে বাণিজ্য নগরীতে। শনিবার নতুন সংক্রমণ হয় ৫৮৬৭ যা এই মাসের সবথেকে কম।
মুম্বইয়ের মতো না হলেও কিছুটা উন্নতি করেছে পুনেও। শনিবার সেখানে সংক্রমণের সংখ্যা ১০,০২৫। এক সপ্তাহ আগে সংক্রমণে রেকর্ড করেছিল পুনে, নতুন সংক্রমণ ছিল ১২,৮২৫ জনের।

পরিস্থিতির এই উন্নতির পিছনে রাজ্যে বর্তমানে বলবৎ করা লকডাউন এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এছাড়াও রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অক্সিজেন সরবরাহ করছে। মোদি সরকার রাজ্য সরকারের দাবি মতো পর্যাপ্ত সংখ্যক ভ্যাকসিন না দেওয়ায় উদ্ভব সরকার বিদেশ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির ভ্যাকসিন আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর