বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ, ধরা পড়ে বহিষ্কৃত দুই বিজেপি নেতা

নিউজ ডেস্ক : বিজেপিতে থেকে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রকারান্তরে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছে অনেক বিজেপি নেতা। ধরা পড়ায় এমন দুই নেতাকে বহিষ্কারের পথে গেল রাজ্য বিজেপি। দলবিরোধী কাজের জন্য মালদার প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে বহিষ্কার করল রাজ্য বিজেপি। একই কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে নিতাই মণ্ডল নামে এক নেতাকে। দলীয় বিধায়কের উপরে হামলার ঘটনায় জেলে রয়েছেন নিতাই। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সতর্ক করা হয়েছে হুগলির নেতা সুবীর নাগকে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য বিজেপি যে কোনও আপস করবে না বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে।

রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগে থেকেই দলবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত সঞ্জিত। ভোটে বিজেপির হারের পর পর তা আরও বেড়ে যায়। দলীয় কর্মীদের অভিযোগ,তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করতে দলবিরোধী প্রচার চালিয়েই যাচ্ছিলেন সঞ্জিত। আবার দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সতর্ক করা হয়েছে হুগলির নেতা সুবীর নাগকে। চুঁচুড়ায় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে কর্মী বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে সুবীর নাগকে এর আগে শো–কজ নোটিস পাঠিয়েছিল বিজেপি। চুঁচুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠকে যান দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ। সঙ্গে ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। সেই সময় একদল বিজেপি কর্মী বিক্ষোভ দেখায়। তখন থেকেই অভিযোগ ওঠে হুগলি লোকসভা এলাকা নিয়ে গঠিত বিজেপি–র সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুবীর ওই বিক্ষোভে মদত দিয়েছেন।
নির্বাচন মিটতেই তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে রাজ্য বিজেপি। যে কমিটির মাথায় রয়েছেন সাংসদ সুভাষ সরকার, অন্য দুই সদস্য বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও রথীন বসু। উল্লেখ্য, ব্লক বা জেলা স্তরের নেতারাই নয় অনেক রাজ্য স্তরের নেতারাও এখন তৃণমূলের পথে। তাদের মুখে আবার শোনা যাচ্ছে, তারা বিজেপিতে থেকে তৃণমূলের জন্য কাজ করেছেন। বিজেপিতে প্রবল অসন্তোষের কারণে শৃংখলা রক্ষা বাহিনী গড়ে গেরুয়া শিবির।

Latest articles

Related articles