একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর থেকেই ভাঙন দেখা দিয়েছে বিজেপির অভ্যন্তরে। বিশেষত তারকা কর্মীরা একে একে দল ছেড়ে তৃণমূলের প্রতি বদান্যতা দেখাচ্ছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। ভোটে হেরে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষনা করেন তিনি। রাজনীতি নিয়ে আপাতত মাথা না ঘামানোর কথা স্বীকার করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও।
মোট কথা, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপিতে ভাটা পড়েছে। মরা গাঙে জোয়ার আসছে না কিছুতেই। একে একে নেতানেত্রী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা সরে যাচ্ছেন বিজেপির পাশ থেকে। এমনকী বিজেপির দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে ছন্নছাড়া ভাব লক্ষ্যণীয় হয়ে উঠেছে। একটা ভোটে পরাজয়েই লন্ডভন্ড হয়ে যেতে বসেছে গেরুয়া শিবির।
২০১৯ সালের ২১ জুলাইয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন টলিউডের পরিচিত মুখ রিমঝিম মিত্র। গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভামঞ্চে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। সক্রিয় রাজনীতি করেও একুশের বিধানসভায় টিকিট পাননি তিনি। অথচ সদস্য দলে যোগ দেওয়া একাধিক নেতা-নেত্রী বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েছেন। কেউ জিতেছেন কেউ বা পরাজিত হয়েছেন। এর পর অভিমানে দল ছেড়েছেন বহু তারকা। কেউ কেউ আবার বিজেপিতে থেকেও তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন।
সম্প্রতি তৃণমূলের দাপুটে নেতা মদন মিত্রের লাইভে দেখা গিয়েছে রিমঝিম মিত্র। তারপরই মঙ্গলবার হঠাৎই বেসুরো তিনি। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, রাখির দিন দলের তারকাদের নিয়ে বৈঠক সেরেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সেখানে গরহাজির ছিলেন রিমঝিম। তার পর থেকেই বাড়চিল জল্পনা। এ প্রসঙ্গে রিমঝিম বলেন, “দলের বিভিন্ন বিক্ষোভ, মিছিল কর্মসূচির খবর পাই। কিন্তু কোনও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের খবর দেওয়া হয়নি। আমার অনেক বন্ধুরাই তৃণমূলে গিয়েছেন। সেরকম সুযোগ আমারও ছিল।” এর পরই তিনি বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে আমাকে ভাবতে হবে।” তাঁর কথায়, “উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ায় অনেকে বিজেপি ছেড়ে গিয়েছেন। টেকেন ফর গ্রান্টেড নেওয়ার ফল কী হতে পারে তা আমরা আগেই দেখেছি।”