নিউজ ডেস্ক : বিজেপির বিরুদ্ধে সিবিআই, NIA, ED এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো নিজেদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ বহু পুরনো। শুধু বিরোধী রাজনৈতিক শিবির নয়, সুশীল সমাজ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবীরা, প্রাক্তন আমলাদের মুখে শোনা যেত এই অভিযোগ। তবে বিজেপি আগাগোড়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু এবার সেই অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি জানিয়েছেন, তার বাবাকেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর ভয় দেখানো হত।
কয়েকদিন আগেই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে পুরনো দল তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়। আর তৃণমূলে ফিরেই বিজেপির নোংরা রাজনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশু রায়ের কথায়, ‘আমার বাবা মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখানো হয়েছিল। বিজেপির তরফ থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করত বিজেপি। তা নিজের চোখেই দেখেছি। বাবার শরীর খারাপ হয়ে যেত। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিও জানেন এ বিষয়ে।’
উল্লেখ্য, মুকুল রায় আর শুভ্রাংশু রায় যেদিন তৃণমূলে ফিরলেন ওইদিন মমতা ব্যানার্জিও দাবি করেছিলেন, বিজেপি মুকুলকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয় দেখায় ফলে তার শরীর অসুস্থ হয়ে যেত।
মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় বাবা খুব ভেঙে পড়েছিলেন। বিজেপির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাবাকে খুব কষ্ট দিত। আমার নির্বাচনে জেতা-হারা নিয়েও ভাবতেন বাবা। বিজেপির নীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল আমারও। তাই অবশেষে বিজেপি ছাড়তেই হল।’ এর পাশাপাশি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘বিজেপি থেকে ৩০ জন বিধায়ক এবং ৩ জন সাংসদও তৃণমূলে যোগ দিতে তৈরি। বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদদের সংখ্যা আরও বাড়বে। অনেকেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চাইছেন। আলোচনা চলছে। বিজেপির সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও চাইছেন তৃণমূলে ফিরতে। মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে মানুষের কাজ করতে চাইছেন সবাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জিকে দেখতে চাইছেন সবাই। তাই বিজেপির টিকিটে হেরে যাওয়া নেতারাও তৃণমূলে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন।’