নিউজ ডেস্ক : রাজ্য নির্বাচনের প্রস্তুতির শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা গেছে বিজেপিকে। এখন নির্বাচন আধিকারিক বদলানোর এবং পোলিং এজেন্ট হওয়ার নিয়ম কেও পাল্টে দেওয়ার দাবি করছেন তারা।
বিজেপির সন্দেহের তালিকায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এবার যুক্ত হলো নির্বাচন আধিকারিক রাও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ ১২ জন কর্মকর্তার দায়িত্ব বাতিলের দাবি বিজেপির। তাদের বক্তব্য, সি ইউ আরিজ আফতাব এবং ওই ১২ জন আধিকারিকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ফলে তাদের দায়িত্বে নির্বাচন পরিচালিত হলে তারা তৃণমূলের পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করতে পারে বলে তাদের অভিযোগ।
নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আগামীকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করবেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, এছাড়া শিশির বাজয়ারি প্রমুখোরা। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সামনেই এই দাবী করবে বলে জানান বিজেপি প্রতিনিধিরা। বিজেপি সূত্রের খবর, তারা নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সামনেই আরিজ সহ বাকি ১২ আধিকারিকের কে কে ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গের কয়টি নির্বাচন পরিচালনা করেছেন এবং তাতে তাদের কেমন ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে নিজেদের মত জানাতে হবে। একই সঙ্গে দাবি করা হবে তাদের কথা খতিয়ে দেখে তাদেরকে যেন দায়িত্ব থেকে বাতিল করা হয়। এ ব্যাপারে মুকুল রায় জানান, “রাজ্যের সি ইউ এবং ওই ১২ জন আধিকারিকের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। তা আমরা কমিশনের ফুলবেঞ্চকে জানাব।” এছাড়া বর্তমানের পোলিং এজেন্ট হওয়ার নিয়ম কেও পালটে দেওয়ার দাবি করছেন তারা। তাদের দাবি রাজ্যের যে কোন বুথ থেকে যে কোন বুথে পোলিং এজেন্ট হওয়া যাবে। এ বিষয়ে মুকুলবাবুর জবাব অবশ্য, ‘যা বলার কমিশনকে বলবো।’
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন কমিশনের কাছে এত আরজি জানাতে চান কেন বিজেপির প্রতিনিধিরা? রাজনৈতিক পর্যবক্ষকদের কারো কারো মত, বাংলায় ক্ষমতা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠা বিজেপি হয়তো নিজের সংগঠনের ভিত্তিকে দুর্বল ভাবছেন, যার কারণে পোলিং এজেন্ট হওয়ার নিয়ম এবং নির্বাচন আধিকারিকের বদল চাইছেন তারা।