BREAKING: সিকিম সীমান্তে সংঘর্ষে ভারতের হাতে জখম ২০ চিনা সেনা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

india-china6

ফের দখলদারি মনোভাবে চিনা সেনার। সিকিম সীমান্তের নাকু লাতে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল চিনা সেনা। আহত হয়েছেন ২০ জন চিনা সেনা জওয়ান। চিনা সেনার অনুপ্রবেশ আটকাতে গিয়েই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ বলে খবর।

নাকু লা সীমান্তে চিনা সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেনা সূত্রে খবর গত সপ্তাহে নাকু লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনা সেনা। আটকায় ভারত। এরপরেই সংঘর্ষ ছড়ায়। ২০ জন চিনা সেনা আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডের সূত্র জানাচ্ছে ভারতীয় সেনাও জখম হয়েছে। কমপক্ষে চার জন সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে চিনা সেনাকে পিছু হঠাতে বাধ্য করেছে ভারতীয় সেনা। সোমবার ভারতীয় সেনা জানিয়েছে এখন নাকু লা সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে সংঘর্ষের পর থেকেই ওই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। চলছে কড়া পাহারা। উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে কনকনে শীতের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই নজরদারির গতি বাড়ানো হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর এই সংঘর্ষে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েনি দুপক্ষের তরফে। তবে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুদেশের সেনা জওয়ানরা।

এদিকে, গত অগাষ্ট মাসে ডোকলাম, নাকু লা এলাকায় চিনা সীমান্তে মোতায়েন করা হয় মিসাইল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বলে খবর মেলে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফেরাতে যতই ভারতের সঙ্গে বৈঠক করুক চিন, আসলে আগ্রাসী মনোভাব থেকে কোনওভাবেই বেরোতে চাইছে না তারা। এই বৈঠক বৈঠক খেলার মাঝেই একে একে অস্ত্র সম্ভার গড়ে তুলছে চিন। সীমান্ত জুড়ে তারা সেনা সাজাচ্ছে বলে মত নয়াদিল্লির।

গত ৯ মাস ধরে উত্তপ্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা৷ চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনা৷ এই অবস্থায় রবিবার নবম দফা বৈঠকে বসে ভারতীয় সেনা ও লাল ফৌজ৷ বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র দাবি জানায় ভারত৷ পাশাপাশি ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র দাবিও তোলা হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। রবিবার পূর্ব লাদাখের মলডোতে বসেছিল এই বৈঠক৷

জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১০টায় কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক শুরু হয়৷ শেষ হয় সোমবার রাত আড়াইটের নাগাদ। প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠক চলে৷ চুসুলের ঠিক বিপরীতে মলডোতে নবম দফা বৈঠকে লাল ফৌজের সামনে সম্পূর্ণ ডিসএনগেজমেন্টের দাবি তোলে ভারত৷ ভারতীয় সেনার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন লে-র এইচকিউ ১৪ কর্পস-এর কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন৷

গত বছর থেকেই শুরু হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এই টানাপোড়েন৷ টানা ৯ মাস ধরে চলছে এই সংঘাত৷ সীমান্তে প্রায় ১ লক্ষ ভারতীয় ও চিনা সেনা মোতায়েন রয়েছে৷ এলএসি-তে মোতায়েন চিনা সেনার সংখ্যা কমানো না হলে ভারতও একতরফা ভাবে সেনা কমাবে না বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ এর আগে গত ৯ নভেম্বর অষ্টম দফা বৈঠকে দু’তরফেই নির্দিষ্ট কিছু বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা পিছনোর কথা বলা হয়েছিল৷ কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি৷

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর