এনবিটিভি ডেস্কঃ তেসরা জানুয়ারি, ২০২২ থেকে শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ। এমনই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রিসমাসের সময় যখন দেশ উত্সবে মেতে, ঠিক তখন এমন একটি সুখবর দিলেন মোদী।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ান্ত রূপ দেখা যেতেপারে।
তবে তা মাত্র একমাসই স্থায়ী হবে বলেও অনুমান করছেন তাঁরা। তার আগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কেন্দ্র প্রত্যেক নাগরিকের কাছে বুস্টার ডোজ পৌঁছে দিতে চাইছে। তবে তারও আগেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের দিতে চাইছে ভ্যাকসিন।
এই ঘোষণার পরেই জানাগিয়েছে, অভিভাবকদের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কোন টিকা পাবে তাঁদের সন্তান কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করানো যাবে। ভ্যাকসিনে ৩ মাসের ব্যবধান থাকলে তারা পরীক্ষা দেবে কিভাবে? এই প্রতিবেদনে মিলবে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় উত্তর। উল্লেখ্য নিজের ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী মোদী কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনের নাম উল্লেখ করেননি।
DCGI শিশুদের দেওয়া Covaxin এর টিকা অনুমোদন করেছে। জরুরি পরিস্থিতিতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের এই টিকা দেওয়া যেতে পারে। তবে একটি বিষয়ে কেন্দ্র জোর দিয়েছে যে শুধুমাত্র ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদেরই টিকা দেওয়া উচিত।
জানাগিয়েছে, ভারত বায়োটেককে শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দেবে। কিন্তু কে কত দফায় টিকা পাবে, কে প্রথমে টিকা পাবে ও কে পরে পাবে, এসব দিক নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের পরিকল্পনার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
বর্তমানে দেশের ব্যবস্থা অনুযায়ী কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর পরে, গ্রাহক স্লট পান। বর্তমানে শিশুদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। অ্যাপে স্লট বুকিংয়ের জন্য আধার কার্ড নম্বর দিতে হবে। কিন্তু অনেক শিশু আছে যাদের আধার কার্ড নেই। শিশুদের জন্য আলাদা অ্যাপ বা ব্যবস্থা করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অনেক ফ্রন্ট লাইনারদের গ্রামে, মহল্লায় পৌঁছে টিকা দিতে হয়।
সূত্রের খবর, বাচ্চাদের বাড়িতে টিকা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে যে সমস্ত শিশু স্কুলে যাচ্ছে, তাদের স্কুলেই টিকা দেওয়া হবে, যাতে তারা সংক্রমণের বিপদ থেকে বাঁচতে পারে।