আলমগীর ইসলামাবাদী
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার হচ্ছেনা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত জশনে জুলুস শোভাযাত্রা।
পরিস্থিতির কারণে জুলুসের নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তানের ছিরিকোর্ট দরবার থেকে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ) বা তাদের কোন প্রতিনিধিও আসছেন না বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর ২০২০) চট্টগ্রামের বিভিন্ন পত্রিকায় এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পৃথিবীতে শুভাগমনের এ দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে উদযাপন করতে চার দশকেরও বেশী সময় ধরে এ জুলুসের আয়োজন করে আসছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আনেয়ার হোসেন সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলুস কর্মসূচির পরিবর্তে এবার স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জামেয়া ময়দানে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার পীর ভাই ও শুভাকাঙিক্ষদের নিয়ে সকাল ৮ টা থেকে মাহফিল ও নামাজে জুমা এবং জুমা শেষে আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। সরকারী নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জশনে জুলুস না করে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মসজিদ, খানকা শরীফ এবং মাদরাসাসমুহে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খতমে কোরান শরীফ, খতমে গাউছিয়া শরীফ, খতমে মজুমআহ-এ- সালাওয়াতে রাসূল(দ:) ও খতমে বোখারি শরীফ আদায় করার জন্য গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ২৯ অক্টোবর ২০২০ (১১ রবিউল আউয়াল) বৃহস্পতিবার পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ’দাওয়াতুল খায়র’ কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফের আলোকে শীর্ষ স্থানীয় আলেমগন কর্তৃক বিষয় ভিত্তিক আলোচনা এবং রাত ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত হামদ ও নাতে রাসূল (দ:)’র কর্মসুচি পালন করা হবে।
গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, মিলাদুন্নবীর দিন যে জুলুস বের হয় সেটি অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য। তাই আমরা প্রতীকীভাবে হলেও বের করতে চাই। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আলাপ হয়েছে। এছাড়া মাইকে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এবং ইসলামী সঙ্গীত প্রচার করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামের ভলুয়ারদিঘির খানকাহ থেকে মাত্র কয়েক হাজার লোকের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছিল জশনে জুলুস। এর প্রবর্তক ছিলেন, পাকিস্থানের ছিরিকোর্ট দরবারের আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ। গত ৪৮ বছর ধরে এই জশনে জুলুসের আয়োজন করে আসছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে এ জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্থানের ছিরিকোর্ট দরবারের সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ, আল্লাম সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহ্ প্রমুখ।