মঙ্গলবার দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের সঙ্গে বৈঠক করলেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। কিন্তু সেখানে ডাক পেল না তৃণমূল। এই নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন এখন তুঙ্গে। সামনেই পুরভোট। তার আগে এহেন ঘটনা নিশ্চিন্তে রাজনীতির প্যাঁচ বলে ধরা জেতে পারে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে ছিলেন এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) নেতা ফারুক আবদুল্লা, শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সঞ্জয় রাউত এবং ডিএমকে (DMK) নেতা টিআর বালু। সোনিয়ার বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তাঁরা।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেও মঙ্গলবারের এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সোনিয়া। তাঁরা না আসতে পারায় যথাক্রমে সঞ্জয় রাউত এবং টিআর বালুকে পাঠানো হয়। অন্য দিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূলকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, কংগ্রেস একটি পৃথক দল এবং তৃণমূল একটি পৃথক দল। কংগ্রেসের কী রণকৌশল হবে, তার উপর নির্ভর করে তৃণমূলের রণকৌশল করা হবে – এটা কখনোই হতে পারে না। তৃণমূল একটি সম্পূর্ণ পৃথক রাজনৈতিক সত্ত্বা। সেই কারণে তৃণমূলের রণনীতিও হবে বাকিদের থেকে আলাদা। তাই প্রত্যেক সাংসদকে নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এগোনোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাহলে কি কার্যতই স্পষ্ট হচ্ছে কংগ্রেস তৃনমূল ফাটল? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক