এনবিটিভি: ১৯৪৭ এর ১৫ অগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তারপর থেকে পার হয়েছে ৭৪টি বছর। শনিবার স্বাধীনতা দিবসে মিমির প্রশ্ন, ”স্বাধীনতার এত বছর পরেও কিছু প্রশ্ন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা সত্যিই স্বাধীন তো?”
২০২০ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটা বিশেষ ভিডিয়ো তৈরি করেছেন মিমি চক্রবর্তী। যেখানে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আসল বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন সাংসদ, অভিনেত্রী। ভিডিয়োতে এক পুলিস সার্জেন্টকে বলতে শোনা গেল, ”লকডাউনে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি, তারপর যখন বাড়ি ফিরছি, অনেকেই বলেছেন, আপনারা রেড জোনে ছিলেন, বাড়িতে না ফিরলে হত না?” শিক্ষিকা, সমাজকর্মী সুচরিতার প্রশ্ন, ”দেশ স্বাধীন হয়েছে, মানুষ কি মনের দিক থেকে স্বাধীন হতে পেরেছেন? ভালোবাসার স্বাধীনতা কি মানুষ মানতে পেরেছেন?”
এখানেই শেষ নয়, এক চিকিৎসককে বলতে শোনা গেল তাঁরা যখন রোগী দেখে বাড়ি ফেরেন, এলাকার লোকজন তাঁদের দিকে এমনভাবে দেখেন, যেন তাঁরা সমাজে করোনা ছড়ানোর জন্যই এসেছেন। একজন মহিলা রিক্সা চালকের কথায়, তিনি রিক্সা চালান বলে অনেকেই তাঁকে বলেন, ”মেয়েরা আবার রিক্সা চালায় নাকি, ঘরে গিয়ে রান্না কর”। এক পশু প্রেমী বললেন, ”আমি লকডাউনে অভুক্ত পশুদের খাইয়েছি, লোকজনের প্রশ্ন, এতই যদি পশুপ্রেম ওদের বাড়িতে নিয়ে যান, কেন আমাদের জায়গা নোংরা করছেন”।
স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ এই ভিডিয়ো প্রকাশ করে আরও একবার আমাদের সমাজ, সংকীর্ণ মানসিকতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ”আমাদের চারপাশের স্বাধীনতার সঙ্গে, চিন্তাভাবনার স্বাধীনতা ভীষণই প্রয়োজন।”
এই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মিমি জানিয়েছেন, ”লকডাউনেই আমি এই ভিডিয়োটি তৈরি করেছি। এই পরিস্থিতিতে মানুষ কীভাবে সমস্যায় পড়েছে তা দেখেছি, আর সেটা দেখেই আমি এই ভিডিয়োটিতে তুলে ধরেছি। লন্ডন থেকে ফেরার পর আমিও হেনস্থার শিকার হয়েছি। আমি কেমন আছি, সেপ্রশ্ন না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে আক্রমণ করতেই লোকজন বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
এই ভিডিয়োতে তুলে ধরা হয়েছে, কোভিড আক্রান্তদের, চিকিৎসকদের কীভাবে সমাজের মধ্যে, সমস্যায় পড়তে হয়েছে।” সবমিলিয়ে এই ভিডিয়ো মানসিকতা বদলানোর বার্তায় দিয়েছেন মিমি।