মমতার মধুর প্রতিশোধ শুরু!কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া বাংলায় ঢুকতে পারবে না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনকালীন সময়ে ছিল রাজ্যের সব প্রশাসনিক ক্ষমতা। ফলে সেই সময়ে অনেক ক্ষেত্রে কমিশনের নেওয়া বেশিরভাগ পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গিয়েছিল। এমনকি তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে কেন্দ্র কমিশনকে ব্যবহার করছিল বলেও অভিযোগ করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে যে এর একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে তার অনুমান আগে থেকেই ছিল। এবার তা বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। এবার থেকে বাংলায় ঢুকতে হলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদেরও RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ থাকতে হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এখনও ঘন ঘন বিজেপি নেতারা আসছেন নব গঠিত সরকারকে চেপে রাখতে। সেই দিক মনে রেখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।

করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান,‘‌করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এক দল এসেছিল। তাঁরা চা খেয়েছে। তারপর চলে গিয়েছে। এবার থেকে যদি কোনও মন্ত্রীরা বাইরে থেকে আসেন, তাদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। যদি তাঁরা বিশেষ বিমানেও আসেন, তাহলেও তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। করোনা ধরা পড়লেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। নিয়ম সকলের জন্যই সমান হওয়া উচিত। ’‌

রাজ্যের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‌২৪ ঘণ্টাও একটা সরকারের হয়নি। তারমধ্যে চিঠি চলে আসছে। তারমধ্যে টিম চলে আসছে।মন্ত্রী চলে আসছে।বিজেপির নেতাদের বলব সংযত হোন।মানুষের রায় মেনে নিন। মানুষের রায় মেনে নিতে পারেননি বলেই এই সব ঘটনা ঘটছে।’‌ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘উদয়ন গুহর হাত ভেঙে দিয়েছে। যেখানে বিজেপি ভালো ফল করেছে, সেখানেই হিংসা বেশি হচ্ছে।বিজেপি নিজেই গুণ্ডামি করেছে।আমাদের ছেলেদের বলব, শান্ত থাক।বিজেপি নিজেই উস্কানি দিচ্ছে। গতকাল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে যখন গিয়েছিলাম, তখন কাউন্সিলার বাবাইকে বললাম, তোরা সবাই শান্ত আছিস তো?‌বলল আমরা কোথায় অশান্তি করছি। বিজেপিই তো অশান্তি করছে।’

একইসঙ্গে বিজেপিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌৬ মাস ধরে রাজ্যে এসে বাংলা দখল করতে গিয়ে ভারতকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছে। কই অক্সিজেন যখন রাজ্যের মানুষ পায় না, তখন টিম আসে না তো। ভ্যাকসিন যখন পায় না, তখন টিম আসে না তো। হাথরাসের ঘটনা হলে টিম আসে না তো। দিল্লির দাঙ্গায় মানুষ মরলে টিম আসে না তো।সাংবাদিক খুন হলে টিম আসে না তো।’

Latest articles

Related articles