ভ্যাকসিন সংকট জুলাই পর্যন্ত চলবে,এর জন্য আমরা নয় কেন্দ্র দায়ী : সিরাম ইনস্টিটিউট CEO আদার পুনওয়ালা

নিউজ ডেস্ক : দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সবথেকে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন নীতি। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মতো ভারত সরকার যদি দ্রুত ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনা করতো তাহলে হয়তো আজ করোনা এতটা বিরূপ আকার ধারণ করতে পারত না বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিপর্যস্ত রাজ্যটির নাম মহারাষ্ট্র। তবে মহারাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে ধাক্কাটা কিছুটা সামলে নিতে পেরেছে রাজ্যে জরুরিকালীন ভাবে বলবৎ করা লকডাউন এবং দ্রুত গতিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনার মাধ্যমে। তাই সব রাজ্যই এখন চাইছে ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে দ্রুততর করতে। অন্যদিকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবার ভ্যাকসিন প্রদান করা শুরু হয়েছে মে মাস থেকে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্য তাদের হাতে উপযুক্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন নেই বলে অভিযোগ করেছে। আবার প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের পৃথক পৃথক মূল্য। এই সমস্ত বিষয়ে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত সেরাম ইনস্টিটিউটের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আদার পুনাওয়ালা কথা বলেছেন ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সঙ্গে।

 

আধার পুনাওয়ালা বলেন, দেশে বর্তমানে করোনা ভ্যাকসিনের যে সংকট চলছে তা জুলাই মাস পর্যন্ত জারি থাকবে। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ভারতে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আসবে এটা আমরা কেউ প্রত্যাশা করিনি। সেজন্য ভ্যাকসিন উৎপাদন স্বাভাবিক গতিতে চলছিল। আমাদের কোনো তাড়া ছিল না। ভ্যাকসিন উৎপাদন অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধির জন্য কোন অর্ডার আসেনি সে সময়। তাই বর্তমানে ভ্যাকসিন উৎপাদনের যে হার তাতে ভারতে ভ্যাকসিন সংকট চলবে অন্তত জুলাই মাস পর্যন্ত। এর জন্য দায়ী আমরা নয়,কেন্দ্র সরকার।

 

জুলাই পর্যন্ত আমরা বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা ৬-৭ কোটি ভ্যাকসিন থেকে আমরা ১০ কোটি ভ্যাকসিনে পৌঁছে যাবো। আমাদের লক্ষ্য ছিল এক বছরে ১০০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা। জানান আদার পুনওয়ালা।

Latest articles

Related articles