এনবিটিভি ডেস্কঃ দিল্লি হাইকোর্ট বুধবার প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্র কর্মী শারজিল ইমামের জামিনের আবেদনেকে খারিজ করে দিল। যদিও বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ মার্চ স্থগিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) বিক্ষোভের সময় উত্তর প্রদেশের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লির জামিয়া এলাকায় শারজিল ইমামের দেওয়ার বক্তব্যর কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল ও বিচারপতি এ.কে. মেন্দিরাত্তা অধিনে এই মামলা আজ শুনানি হয়। আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্বে শারজিলের আইনজীবী তানভীর আহমেদের দাখিল করা তথ্যর ব্যাপারে জানতে চান।
শুনানির সময় বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে, কোন জায়গায় দাঙ্গার জন্য ভড়কাও ভাষণের ফলে ঘটে। যদিও শারজিলের বিরোধী আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এফআইআর বক্তৃতা থেকে তিনটি লাইন বের করা হয়েছে, যেখানে তার বক্তব্যর কারনে দাংগা ঘটে যেতে পারে। নিম্ন আদালতের জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শারজিল ইমাম।
ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩বি (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা), বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের ধারা ১৩ ও ধারা ৫০৫ দিয়ে শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তৃতা দেওয়ার এবং সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ অংশকে বেআইনি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকর বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আড়ালে তিনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে প্রধান শহরগুলির দিকে যাওয়ার মহাসড়কগুলি অবরোধ করার এবং ‘চাক্কা জ্যাম’ অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
যদিও এখনও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নিয়ে আসা অভিযোগ গুলি প্রমান করতে হিমশিম খাচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকেরই। তবে আগামী ২৪ মার্চে পুনরায় শুনানি হবে বলে সূত্রে জানা যায়।